একবার জাল ফেলে পৌনে এক লাখ টাকার মাছ, এক কাতলার দামই ৬২ হাজার
Published: 13th, November 2025 GMT
পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় একবার জাল ফেলে ৭৮ হাজার টাকার মাছ ধরেছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার জেলে ইছহাক সরদার। গতকাল বুধবার দিবাগত গভীর রাতে তাঁর জালে ১০ ও ৪ কেজি ওজনের দুটি পাঙাশ মাছের পাশাপাশি সাড়ে ২৩ কেজি ওজনের একটি কাতলা ধরা পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বাজারের আনুখার আড়তে প্রকাশ্য নিলামে মাছগুলো বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে কাতলাটিকে ৬২ হাজার টাকায় কেনেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা। এ ছাড়া পাঙাশ দুটিকে ১৬ হাজার টাকায় অন্যত্র বিক্রি করেন জেলে ইছহাক সরদার।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার জেলে ও স্থানীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইছহাক সরদার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে ক্রম অনুসারে তাঁরা সাত ভাগীদার পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে বের হন। ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে জেলার সীমান্তবর্তী দেবগ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায় রাত ১২টার দিকে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় ঘাইলা বেড় বা ফ্যাশন জাল ফেলেন। জাল ফেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কয়েকবার ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে।
ইছহাক সরদার বলেন, জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই প্রথমে মাঝারি আকারের একটি পাঙাশ দেখতে পান। জাল গোটানো শেষে বড় একটি কাতলা ও একটি ছোট পাঙাশ ধরা পড়ে। একসঙ্গে তিনটি দামি মাছ ধরা পড়ায় সবাই খুশি হন। মাছগুলো বিক্রির জন্য আজ সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বাজারে আনেন। নিলামে কাতলাটি ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৬২ হাজার, ১০ কেজির পাঙাশটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে এবং চার কেজির পাঙাশটি এক হাজার টাকা কেজি ধরে অন্যত্র বিক্রি করেন।
জেলে ইছহাক সরদার আরও বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে কখনো মাছ পাই, আবার কোনো দিন একটিও পাই না। এবার একসঙ্গে তিনটি দামি মাছ পাওয়ায় আমাদের কাছে অনেকটা ঈদের আনন্দের মতো লাগছে। প্রায় ৭৮ হাজার টাকা বিক্রি করে আড়তদারদের দিতে হয় একটা অংশ। তারপরও আমরা অনেক খুশি।’
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ২৪ কেজি ওজনের কাতলাটি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৬২ হাজার টাকায় কিনেছেন। কেজিপ্রতি ১০০ টাকা করে লাভ হলেই বিক্রি করে দেবেন। এ জন্য নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করার পাশাপাশি পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমলকী ও ডালিমের রস একসঙ্গে খেলে পাবেন এই চার উপকার
আমলকী ও ডালিমে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় অন্যান্য উপাদান। সুস্থতার জন্য অপরিহার্য এসব উপাদান যখন একই পানীয় থেকেই পেয়ে যাবেন, তখন পাবেন এসব উপকার—
বাড়বে রোগ প্রতিরোধক্ষমতারোগজীবাণুর আক্রমণ থেকে প্রাথমিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে রোজ। এমনকি ঠান্ডা-কাশি উপশমে প্রদাহ কমাতে কাজে আসে ভিটামিন সি। ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন। আমলকী আর ডালিমের রস থেকে আপনি এসব উপকার পাবেন।
হৃৎপিণ্ড থাকবে সুস্থঅ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় উপাদান থাকার কারণেই এই পানীয় আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের দেহে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের কারণে রক্তনালীর ভেতর নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটতে পারে। প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর আলমকী ও ডালিমের পানীয় পরোক্ষভাবে আপনার হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনকোন পানীয় কখন আপনার কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে২৮ এপ্রিল ২০২৫ত্বক হবে কোমলবয়সজনিত কারণে ত্বকে যেসব পরিবর্তন হয়, সেসব সামলাতে প্রয়োজন ভিটামিন সি। কারণ, আমাদের ত্বক কোলাজেন নামের যে প্রোটিন দিয়ে গঠিত, সেই প্রোটিন তৈরির জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক।
ত্বকের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা এবং কোমলতা ধরে রাখতে তাই খেতে হয় ভিটামিন সি। তাতে বলিরেখার হারও কমে। বুঝতেই পারছেন, আমলকী আর ডালিমের রস ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কতটা উপকারী।
মস্তিষ্কের ওপর প্রভাবঅ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় উপাদান মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সহায়ক। মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে এবং স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি কমাতে আমলকী আর ডালিমের রস খেতে পারেন মাঝেমধ্যেই।
আরও পড়ুনএই ৪ পানীয় আর্টারি প্লাক দূর করতে সহায়ক, শুনুন চিকিৎসকের পরামর্শ২৩ অক্টোবর ২০২৫