নগরকান্দায় ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম, মামলার চার দিনেও গ্রেপ্তার নেই
Published: 13th, November 2025 GMT
ফরিদপুরের নগরকান্দায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহ আগের এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মো. রেজাউল হক মোল্লা (৫৬)। তিনি নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। ৬ নভেম্বর উপজেলার ঘোনাপাড়া কালীখোলায় এলাকায় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে সাতজনের বিরুদ্ধে ৯ নভেম্বর থানায় মামলা করেন তিনি।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লস্করদিয়া এলাকায় সভা করে মাইক্রোবাসে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বেলা তিনটার দিকে তিনি নগরকান্দার ঘোনাপাড়া কালীখোলা এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে লাঠিসোঁটা, কাঠের বাটাম, চাকু, রামদা, চায়নিজ কুড়াল, হাতুড়িসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করেন। তাঁরা তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং মাইক্রোবাসের কাচ ভাঙচুর করেন।
ভুক্তভোগী রেজাউলের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলানো হয়েছে। তবে পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি মাসুদসহ ছয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মুনমুন মাসুদ, তাঁদের ছেলে জুনায়েদ জুলকার নায়েন ভিয়ান ও জুলুন সাফওয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারান্নুম নাওমী।
এদিকে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সলিউশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন একই আদালত।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম।
ওই আবেদনে বলা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ব্যাংকের ঋণ অনুমোদন করে ঋণের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, বিশেষ করে ছেলের বিদেশি শিক্ষার খরচে ব্যবহার করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নগদ অর্থ জমা, ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমহীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু ওবায়েদ উল্লাহর দুই সন্তান দেশত্যাগ করেছেন, ফলে তিনিসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।
অ্যালায়েন্ট এনার্জি সলিউশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান।
আরও পড়ুনরূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ২৩ অক্টোবর ২০২৫আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কাজী হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।