চারদিকে তখন করোনার আতঙ্ক। অবস্থা এমন যে আত্মীয়স্বজনও ভয়ে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। ২০২০ সালের এমন একটি সময়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গঠন করেন ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম’। মানুষের দিকে সেবার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। এই দলের সদস্যরা তখন করোনায় আক্রান্তদের অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্লাজমা এবং আইসিইউ সেবা সরবরাহের কাজ করতেন। ওই দলটিই পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্লাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নাম হয় ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রেসপন্স টিম’।

কয়েকজন মিলে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ক্লাবটির সদস্য ২৩৩। কোভিড–পরবর্তী সময়ে এর কাজ আরও বিস্তৃত হয়েছে। শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য ‘উইন্টার ক্যাম্পেইন’, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ‘প্রজেক্ট হাসিমুখ’, ১০ বছরে ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়নে ‘প্রজেক্ট জীবন’ এবং ব্লাড ডোনেশন রক্তদান কর্মসূচি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রেসপন্স টিমের নিয়মিত কাজ। আরও অনেক সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত আছে ক্লাবটি। ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার ও বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং ক্যাম্পও করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ব্লকচেইন একাডেমি০৩ নভেম্বর ২০২৪গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে যৌথভাবে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রেসপন্স টিম’.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ