মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীকে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
Published: 12th, July 2025 GMT
মিটফোর্ডে লাল চাঁদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডাস চত্বর পার্শ্ব রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিক্ষোভে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ‘আমাদের অধিকার, নিরাপদ বাংলাদেশ’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘বিচার-বিচার, বিচার চাই, সোহাগ হত্যার বিচার চাই’, ‘মানুষ মরে উল্লাস করে, ইন্টেরিম কি করে’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি শাখা ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যেভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে উল্লাস করা হয়েছে, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শিগগিরই সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি বিচার নিশ্চিত না করা হয়, ছাত্রদল এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এ সময় ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দীন শাওন, আনিসুর রহমান অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঈয়া ইমন প্রমুখ।
এ ছাড়া দেশব্যাপী চলমান সব প্রকার ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সহিংসতা ও ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবি জুবায়েরসহ শিক্ষার্থীরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল হত য হত য ক ণ ড ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রান্সে এক্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
ফ্রান্সে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তদন্ত শুরু হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির অ্যালগরিদমে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন এনে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ ঘটানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিশ।
শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
শুক্রবার (১১ জুলাই) প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এক্সের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে দুটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে- অ্যালগরিদম পরিবর্তন এবং ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে তথ্য সংগ্রহ। এই অভিযোগ ‘সংগঠিত তথ্য সিস্টেম হ্যাকিং’-এর আওতায় পড়ে, যা ফরাসি আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
আরো পড়ুন:
সংসার ভাঙলো কনার, ন্যান্সি ‘শিয়াল রাণী’ বললেন কাকে?
‘তাণ্ডব’র প্রদর্শনী বন্ধ, আপনি আছেন বন্দর নিয়ে?’ সরকারের প্রতি নিপুণের প্রশ্ন
প্রসিকিউটর লোর বেকো বলেছেন, জাতীয় জেনডারমারিকে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে, প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিসের সাইবার ক্রাইম ইউনিট দুটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেয়েছিল। ফরাসি সংসদের একজন সদস্য এবং একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই মামলার অভিযোগ দাখিল করেন। উভয় অভিযোগেই অভিযোগ করা হয়েছে যে, এক্সের অ্যালগরিদম বিদেশি হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি সংসদের আরো কয়েকজন সদস্য সম্প্রতি এক্সের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন, বিশেষ করে প্ল্যাটফর্মের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’-এর সাম্প্রতিক ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই মামলায় এক্স প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি আইনি সত্তা এবং কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তদন্তের আওতায় এসেছে।
তদন্তকারীরা এখন প্রমাণ খুঁজছেন- এক্স প্ল্যাটফর্ম কীভাবে কনটেন্ট প্রদর্শনের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে চরম ডানপন্থি মতাদর্শকে এগিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ডানপন্থি প্রার্থীদের পোস্টগুলো বেশি প্রচারিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এক্স-এ সাম্প্রতিক সময়ে ঘৃণামূলক, বর্ণবাদী, এলজিবিটিকিউ+ বিরোধী ও সমকামবিরোধী রাজনৈতিক কনটেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ফ্রান্সের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে।
এক্স ফ্রান্সের সিইও লরেন্ট বুয়ানেক জানুয়ারিতে একটি পোস্টে বলেছিলেন, ঘৃণামূলক কনটেন্ট ঠেকাতে এক্সের কঠোর ও স্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তিনি আরো যোগ করেন, প্ল্যাটফর্মটি ‘ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে’ এবং এর অ্যালগরিদম ‘ঘৃণাত্মক কনটেন্ট’ ঠেকাতে ডিজাইন করা হয়েছে।”
ঢাকা/ফিরোজ