বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশান। ২০০০ সালের ১৪ জানুয়ারি মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা। এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে হৃতিকের। এটি পরিচালনা করেন তার বাবা রাকেশ রোশান।

এ সিনেমায় হৃতিকের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আমিশা পাটেল। মুক্তির পর হৃতিক-আমিশার এই সিনেমা দেশ ও দেশের বাইরে ঝড় তুলেছিল। সিনেমাটি মুক্তির ২৫ বছর পূর্তি আজ। এ উপলক্ষে স্মৃতির ডায়েরি খুলে বসেছেন বলিউডের ‘গ্রিক গড’।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হৃতিক তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন। মূলত, তার পুরোনো ডায়েরির পাতার ছবি এগুলো। যার বয়স ২৭ বছর। এসব ছবিতে দীর্ঘ ক্যাপশন দিয়েছেন হৃতিক রোশান।

আরো পড়ুন:

বলিউডের প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকাদের ‘পুনর্মিলনী’

রাজেশ রোশানের বিরুদ্ধে গায়িকা লগ্নজিতার যৌন হেনস্তার অভিযোগ

লেখার শুরুতে হৃতিক রোশান বলেন, “২৭ বছর আগে আমার হাতের লেখা। আমার প্রথম সিনেমা ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’-এর প্রস্তুতির সময়ের। আমার মনে আছে, আমি কতটা নার্ভাস ছিলাম। এখনো সিনেমা শুরুর সময়ে তাই হয়। এগুলো শেয়ার করতে আমার বিব্রত লাগত। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর কাটানোর পর আমার মনে হয় আমি এখন এটা সামলাতে পারব।”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে হৃতিক রোশান বলেন, “তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কী পরিবর্তন হয়েছে? আমি লেখাগুলো দেখে বুঝতে পারি, একেবারে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। এটা কি ভালো নাকি খারাপ জিনিস? কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য অনেক কিছু আছে। অনেক কিছু করার বাকি। এটা ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর ২৫তম বার্ষিকী।”

বিশেষ দিনে একটি বিষয় উদযাপন করতে চান হৃতিক। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি একটি বিষয় উদযাপন করতে চাই, তা হলো আমার রুক্ষ ডায়েরির খারাপ হাতের লেখাগুলো। আমি একটি জিনিস নিয়ে স্বস্তিবোধ করছি, তা হলো স্থিতিস্থাপকতার প্রমাণ। ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠার নিচে লেখা— ‘একদিন’। কখনো এমন কোনো দিন আসেনি। অথবা হয়তো এসেছিল। কিন্তু আমি প্রস্তুতিতে ছিলাম বলে মিস করেছি।”

‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা এবং সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন হৃতিক। ২০০৩ সালে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্থান পায় সিনেমাটির নাম। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পুরস্কার ঝুলিতে ভরে রেকর্ড গড়েছিল হৃতিক অভিনীত এই সিনেমা। সব মিলিয়ে ১০২টি পুরস্কার জিতেছিল ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। সিনেমাটি মুক্তির পর ২৫ বছর কেটে গেলেও এখনো উজ্জ্বল হৃতিক।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।

হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ