হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করছে জেমিনি চ্যাটবট
Published: 11th, July 2025 GMT
ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির জেমিনি চ্যাটবট। এমনকি ফোনে চালু থাকা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে আদান-প্রদান করা বিভিন্ন বার্তার তথ্যও সংগ্রহ করছে চ্যাটবটটি। সংরক্ষণ করা বার্তা বিশ্লেষণ করে ব্যবহারকারীদের উপযোগী উত্তর জানাতেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গুগল।
গুগলের তথ্যমতে, জেমিনি চ্যাটবটে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিলিটিজ অ্যাপ ব্যবহার–সম্পর্কিত সহায়তা সুবিধা চালু হয়েছে। স্মার্টফোনে ‘জেমিনি অ্যাপস অ্যাকটিভিটি’ সেটিংস বন্ধ থাকলেও নতুন সুবিধাগুলো চালু থাকবে। তবে সেটিংস বন্ধ থাকলে ব্যবহারকারীদের বার্তাগুলো ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। অর্থাৎ, জেমিনি অ্যাপস অ্যাকটিভিটি সুবিধা বন্ধ করলেও ব্যবহারকারীদের বার্তা তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে জেমিনি চ্যাটবট।
নতুন এ পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই স্মার্টফোনে থাকা বিভিন্ন অ্যাপের সংবেদনশীল তথ্য সংরক্ষণ করছে গুগল, যা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের শামিল। তবে গুগলের দাবি, নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে জেমিনি চ্যাটবট আগের তুলনায় আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে। শুধু তা–ই নয়, হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের পাঠানো বার্তার উত্তর জেমিনির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে পাঠানো যাবে।
জেমিনি অ্যাপস অ্যাকটিভিটি সুবিধা বন্ধের জন্য প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকা জেমিনি অ্যাপ চালু করে ওপরের ডান কোণে থাকা প্রোফাইল চিহ্নে ক্লিক করতে হবে। এরপর মেনু থেকে ‘জেমিনি অ্যাপস অ্যাকটিভিটি’ অপশন নির্বাচন করে টগল সুইচ বন্ধ করতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র টসঅ য প চ য টবট
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি