ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে এবং ডাকটাইমের সৌজন্যে বণিক বাজার প্রতিযোগিতার মহাসমারোহে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এই আয়োজন ছিল নবীন উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতা এবং ব্যবসায়িক দক্ষতার প্রদর্শনী। জমকালো এই আয়োজনে গিফট পার্টনার ছিল ইউআইএইচপি।

শীর্ষ ১৫টি দল তাদের চূড়ান্ত উপস্থাপনা প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে। প্রতিযোগীদের বিচার করেন বিশিষ্ট তিন বিচারক— অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, ফাহাদ হোসেন এবং এমরাজিনা ইসলাম। বিচারকরা দলগুলোর ব্যবসায়িক ধারণা, কর্মক্ষমতা, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং স্থায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক নাহিদ হোসাইন, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারি অধ্যাপক মি.

জাকোয়ান।
 
২ দিনব্যাপী এ মেলায় এবং ৩য় দিন জমকালো গ্রান্ড ফিনালের মূল আয়োজক ছিল প্রেসিডেন্ট ইয়াসিন আশরাফ ফাহিম এবং তার কোর কমিটি সহ ৫০ সদস্যর দল । 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ইউআইইউ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অংশে বিচারকগণ তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন এবং আয়োজনের প্রশংসা করেন। তাদের সম্মানে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘কাচন্তী’ দল, যারা ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছে। প্রথম রানার-আপ ‘টিফিন লাগবে’ দল ১০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ ‘ওশান অ্যাবিস’ দল ৫ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছে। বিজয়ী দলগুলো তাদের ব্যবসায়িক মেধা ও উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে সবার মন জয় করেছে।

সব শেষে এই তিন বিজয়ীর পুরো বিজনেসে ইনভেস্ট করার কথা ঘোষণা দেন অধ্যাপক মামুন এবং ফাহাদ হোসেন। 

বণিক বাজার প্রতিযোগিতার এই সফল সমাপ্তি উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আয়োজক কমিটি আশা প্রকাশ করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ