ফের বৃষ্টিতে আতঙ্কে নোয়াখালীর মানুষ
Published: 10th, July 2025 GMT
গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় নোয়াখালী জেলাবাসীর মনে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টায় আবারো এ জেলা শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এতে নতুন করে পানিবন্দী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত জেলায় উল্লেখযোগ্য কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মানুষজন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় ছিলেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া ও পানিবন্দী মানুষদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়।
জানা গেছে, নোয়াখালী সদর, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরের বিভিন্ন অঞ্চলের নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জেলা শহর মাইজদীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৎস্য অফিস, জেল খানা সড়ক, পাঁচ রাস্তার মোড়, পৌর বাজার, পুলিশ সুপার অফিস, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা এলজিইডি, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা জনসাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এখনো অনেক এলাকায় কার্যকর না হওয়ায় ঘরবাড়ি ও সড়কে পানি জমে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ এবং যানবাহনের চালকদের।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টি কত দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
দীঘিনালায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
জেলা শহরের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, “সকাল বেলা কিছুটা আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু আবার বৃষ্টি শুরু হলো। পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। কেননা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
দিদারুল আলম নামে আরেকজন বলেন, “বৃষ্টি এলেই আমাদের শঙ্কা বেড়ে যায়। কয়েকদিন আমরা টানা বৃষ্টিতে নিমজ্জিত। এতে করে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। জেলার একটি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা দরকার। আমাদের এক রাস্তার শহর কিন্তু রাস্তা থেকে ড্রেন উচু। কোথাও কোথাও অপরিকল্পিত ড্রেন, যার কোনো আউট লাইন নেই। উল্টো ড্রেন দিয়ে সড়কে পানি প্রবেশ করছে।”
কাদির হানিফ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইকবাল বলেন, “আমাদের বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। বসতঘরসহ রান্নাঘরে পানি আজ তিনদিন। রান্না৷ করাটাও কষ্টকর হয়ে গেছে।”
সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল বারি বলেন, “শস্য ভাণ্ডার খ্যাত সুবর্ণচরে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মৌসুমী ফসলের বীজ অনেক কৃষক রোপণ করেছে। কিন্তু টানা বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা লোকসানে পড়বে।”
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, সুপ্ত খাবার ও নগদ টাকা প্রস্তুত রয়েছে। পানিবন্দী মানুষসহ আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নিয়েছে, তাদের মাঝে এসব বিতরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকেও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।”
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ আতঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানি অভিনেত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর আলীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে করাচির একটি বাসায় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি হয়তো কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। খবর ডন নিউজের
বুধবার পুলিশের ডিআইজি (দক্ষিণ) সৈয়দ আসাদ রেজা জানান, ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মরদেহ করাচির ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকার এক বহুতল ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি খালি করার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সেখানে যায়। দরজায় কড়া নাড়ার পর সাড়া না পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অভিনেত্রীর মরদেহ দেখতে পায়।
তিনি আরও জানান, হুমাইরার পরিবার লাহোরে থাকে। যোগাযোগ করা হলে তার বাবা লাশ নিতে রাজি হননি। বিষয়টি জানতে পেরে শোবিজ সংশ্লিষ্টরা লাশ দাফনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরিবার যদি হুমাইরার লাশ গ্রহণ না করে, তাহলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আসাদ রেজা জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
লাহোরে জন্ম নেওয়া হুমায়রা ২০১৩ সালে মডেলিং শুরু করেন। ২০২২ সালে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘তামাশা’-তে অংশ নিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি নিজেকে জনজীবন থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে করাচির সেই ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন এবং ২০২৪ সালের শুরু থেকেই ভাড়া পরিশোধ বন্ধ করে দেন।