মতিঝিল আইডিয়ালে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
Published: 10th, July 2025 GMT
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় রাজধানীর অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। এ বছর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এছাড়া গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে জিপিএ-৫-এর সংখ্যাও।
চলতি বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৪৯ জন শিক্ষার্থী, যা মোট কৃতকার্য শিক্ষার্থীর ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৯৫৬ জন বা মোট পরীক্ষার্থীর ৮০ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফল এসব তথ্য জানা যায়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এ বছর মতিঝিল আইডিয়াল মোট ২ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ২৩৪ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫০৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩৫২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। মোট জিপিএ-৫-এর শতকরা হার ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া অকৃতকার্য হয়েছেন ৫৪ জন শিক্ষার্থী।
গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫-এর সংখ্যা কমার বিষয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে ক্লাস পায়নি। এছাড়া সিলেবাসেও কিছু সমস্যা ছিলো। এ কারণে তাদের মধ্যে শিখন ঘাটতি ছিলো।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের ‘মার্সি নম্বর’ দেওয়ার প্রবণতা ছিলো। এবার সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে প্রাপ্য নম্বরই দিতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনাকে আমরা স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীরা ঢালাওভাবে নম্বর পেয়ে পাস করলে অনেক সময় দেখা যায় তারা সামনে গিয়ে ভালো করতে পারে না, এটা কাম্য নয়। এজন্য আপাতদৃষ্টিতে কিছু ফেল থাকলেও ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে পরীক্ষায় বসবে।
অন্যদিকে, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে দুপুর দুইটার আগে থেকে বিদ্যালয়ে ভীড় করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ফল ঘোষণার পরপরই অনেককে শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে দোয়া ও আশীর্বাদ নিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠেন। অভিভাবকরাও সন্তানের ফল জানার পর শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী রাইসা এবার গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি সৃষ্টিকর্তা, পরিবার এবং শিক্ষকদের দেন। জুলাই আন্দোলনের প্রভাব তার ওপর পড়েছিলো কী না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনের প্রভাব অবশ্যই পড়েছে। এই আন্দোলনে আমার অনেক কাছের মানুষ শহীদ হয়েছেন। এরপরও আমরা পরীক্ষা দিয়েছি এবং ভালো করেছি।
ব্যবসায়ী মো.
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব যেন আমার মেয়ের ওপর না পড়ে; সে কারণে তাকে মানসিকভাবে সাহস জুগিয়েছি। যার ফলে পরীক্ষায় ভালো করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস মত ঝ ল জন শ ক ষ র থ গত বছর র পর ক ষ য় দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট