Samakal:
2025-09-17@23:49:19 GMT

হাঁসের মাংসের কয়েক পদ

Published: 14th, January 2025 GMT

হাঁসের মাংসের কয়েক পদ

শীতে হাঁসের মাংসের স্বাদ বেড়ে যায় বৈকি। এ সময় হাঁস ঝাল ঝাল করে রান্না করে খেলেও যেমন অমৃত লাগে, তেমনি সবজি দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। হাঁসের মাংসের কয়েক পদের রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে হাঁসের ঝাল   
উপকরণ: দেশি হাঁস ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ২-৩ পিস, সয়াবিন তেল আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, মরিচ, হলুদ, ধনে গুঁড়া, লবণ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে পরিমাণমতো ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা দিয়ে আরও কিছু সময় কম তাপে রান্না করুন। ঝোল ঘন হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার ভুনা খিচুড়ি দিয়ে হাঁসের ঝাল পরিবেশন করুন।

হাঁসের ঝাল ভুনা  
উপকরণ: হাঁস ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে ১২ পিস করে কেটে নিন। এবার ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি সোনালি করে ভেজে অল্প পানি দিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো মসলায় হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে আবারও সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। লালচে রং হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। চিতই পিঠা আর ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল হাঁসের ভুনা। 

শালগম হাঁসের রসা 

উপকরণ: হাঁস ১টি, শালগম ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,  পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, তেজপাতা ২-৩টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
 

প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে মাঝারি টুকরা করে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভেজে নিন। এবার অল্প পানি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে হাঁসের মাংস দিন। পরে নেড়ে সব মসলা মিশিয়ে নিন। আবারও ঝোলের পানি দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। শালগম দিয়ে আবার রান্না করুন। নামানোর আগে জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নেড়ে দমে রাখুন আরও ৫ মিনিট।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি