Samakal:
2025-05-01@04:56:37 GMT

হাঁসের মাংসের কয়েক পদ

Published: 14th, January 2025 GMT

হাঁসের মাংসের কয়েক পদ

শীতে হাঁসের মাংসের স্বাদ বেড়ে যায় বৈকি। এ সময় হাঁস ঝাল ঝাল করে রান্না করে খেলেও যেমন অমৃত লাগে, তেমনি সবজি দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। হাঁসের মাংসের কয়েক পদের রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে হাঁসের ঝাল   
উপকরণ: দেশি হাঁস ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ২-৩ পিস, সয়াবিন তেল আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, মরিচ, হলুদ, ধনে গুঁড়া, লবণ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে পরিমাণমতো ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা দিয়ে আরও কিছু সময় কম তাপে রান্না করুন। ঝোল ঘন হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার ভুনা খিচুড়ি দিয়ে হাঁসের ঝাল পরিবেশন করুন।

হাঁসের ঝাল ভুনা  
উপকরণ: হাঁস ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে ১২ পিস করে কেটে নিন। এবার ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি সোনালি করে ভেজে অল্প পানি দিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো মসলায় হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে আবারও সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। লালচে রং হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। চিতই পিঠা আর ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল হাঁসের ভুনা। 

শালগম হাঁসের রসা 

উপকরণ: হাঁস ১টি, শালগম ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,  পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, তেজপাতা ২-৩টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
 

প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে মাঝারি টুকরা করে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভেজে নিন। এবার অল্প পানি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে হাঁসের মাংস দিন। পরে নেড়ে সব মসলা মিশিয়ে নিন। আবারও ঝোলের পানি দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। শালগম দিয়ে আবার রান্না করুন। নামানোর আগে জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নেড়ে দমে রাখুন আরও ৫ মিনিট।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা