নেইমারকে নিতে তিন ক্লাবের কাড়াকাড়ি
Published: 16th, January 2025 GMT
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে কোথায় যাচ্ছেন নেইমার? এই প্রশ্ন অবশ্য ফুটবলপ্রেমীদের মনে বার বার আসছে। অনেক ক্লাবের সঙ্গেই নেইমারের যোগাযোগ হচ্ছে। তবে তাদের বেশিরভাগই মেজর লিগ সকারের।
অবশ্য নেইমারকে দলে নেওয়ার দৌড় থেকে ইতোমধ্যে ইস্তফা দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। তাদের নতুন আর্জেন্টাইন কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে নেইমারকে দলে ভেড়ানোটা তাদের জন্য একপ্রকার অসম্ভব। তাতে অবশ্য ফুটবলপ্রেমীরা বার্সেলোনার সেই মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ ত্রয়ীকে আবার মায়ামিতে দেখার যে স্বপ্ন দেখছিল সেটাতে আপাতত ইস্তফা দিতে হচ্ছে।
অবশ্য মায়ামি সরে দাঁড়ানোয় এমএলএম’র অন্যান্য ক্লাবগুলো কাড়াকাড়ি শুরু করেছে নেইমারকে নিয়ে। সেই তালিকায় সবার উপরে আছে শিকাগো ফায়ার এফসি’র নাম। ক্লাবটি নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ গ্রেগ বারহল্টারকে। তার তত্ত্বাবধানে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছে দলকে। সেখানে তারকা ফুটবলার হিসেবে নেইমারকে নিতে চাচ্ছে তারা।
আরো পড়ুন:
নতুন ক্লাবে যাচ্ছেন নেইমার
নেইমারের চোট নিয়ে যা জানালো আল হিলাল
বাকি দুইটি ক্লাবের নাম অবশ্য সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নেইমারকে দলে ভেড়াতে।
২০২৩ সালে নেইমার ৯৭.
হিলালে যোগ দিয়েই এসিএল ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। অক্টোবরে ফেরার পর পরই তিনি আবার হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন। নেইমার আল-হিলালের হয়ে মাত্র সাত ম্যাচ খেলেছিলেন। কেবল এক গোল করেছিলেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে।
ইনজুরির পরও নেইমার বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাথলেট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। বিশেষ করে আমেরিকানদের কাছে। সে কারণেই এমএলএস’র ক্লাবগুলো ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকারকে দলে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
নেইমার ২০০৯ সালে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ব্রাজিলের ক্লাব সাও-পাওলোর হয়ে। ক্লাবটির হয়ে জিতেছিলেন কোপা লিবার্তাদোরেস। এরপর ২০১১ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। সেখানে যোগ দিয়ে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মেসি, সুয়ারেজ, জর্ডি আলবা, সার্জিও বুসকেটসদের সঙ্গে জিতেছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। দুটি জিতেছিলেন লা লিগার শিরোপা। আর তিনটি জিতেছিলেন কোপা ডেল রের শিরোপা।
২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়ে পাঁচটি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান শিরোপা, তিনটি ফ্রেঞ্চ কাপ ও দুটি ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা জিতেছিলেন নেইমার। ২০২১ সালে তার সঙ্গে পিএসজিতে যোগ দেন মেসিও।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেইমার ব্রাজিলের হয়ে কাফুর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২৮ ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন রেকর্ড ৭৯টি। যা ব্রাজিলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে তিনি ব্রাজিলকে স্বর্ণ জিতিয়েছিলেন।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবশ য ইনজ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি শেষে আদেশের এই তারিখ ধার্য করেন।
গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার শুনানি হয়।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়; পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষ হলো।