দুর্দান্ত এক জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করলো ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবাল ও মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়ে জয় তুলে নেয় বরিশাল।  

১৪০ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ও মালানের ব্যাটে সহজেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেও অপরাজিত ছিলেন মালান। তার ৪৯ রানের ইনিংসে ভর করে বরিশাল ২৪ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে। এটি বরিশালের চতুর্থ জয়, যা তাদের পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে তুলে এনেছে। ঢাকার জন্য এটি ছিল আসরে সপ্তম হার

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালস শুরুটা ভালো করলেও ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায়। তানজিদ তামিম একাই লড়াই করে ৪৪ বলে ৬২ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও দুটি বাউন্ডারি। তবে অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলের রান বড় হয়নি।  

মুনিম শাহরিয়ার ও অধিনায়ক থিসারা পেরেরা কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরেন। শেষ দিকে ফারমানুল্লাহ শাফির ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও কিছুটা রান যোগ করলেও দলের হার ঠেকাতে পারেনি।  

বরিশালের বোলিং আক্রমণে সেরা ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। তিনি ৩ ওভারে ৩ উইকেট নেন। ফাহিম আশরাফ ৩.

২ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। তবে রিশাদ হোসেনকে একাদশে জায়গা দেওয়া হয়নি।  

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে (০) হারালেও তামিম ও মালানের ব্যাটিংয়ে কোনো চাপ পড়েনি বরিশালের। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান তারা। তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান। অপরদিকে, মালান ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ