গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর নজরে আসেন প্রতিশ্রুতিশীল এই লেগ স্পিনার।

কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি, জিম আফ্রো ও অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি বিগ ব্যাশে হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে খেলার সুযোগ হয়েছিলো রিশাদের। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তিনটি টুর্নামেন্টের কোনটিতেই খেলতে পারেননি তিনি। বিপিএল খেলার ব্যস্ততার মাঝে তার পাকিস্তান সুপার লিগে খেলার দরজা খুলে গেছে। এবার কী তার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার সুযোগ মিলবে? প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক।

তবে এসব প্রতিযোগিতায় রিশাদের অংশগ্রহণ চান ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান। তার মতে, যত বেশি প্রতিযোগিতায় রিশাদ অংশগ্রহণ করবে, তত তার উন্নতি হবে।

আরো পড়ুন:

মাথায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিপিএলে তাড়াহুড়ো নেই সৌম্যর

‘বাংলাদেশ ওয়ানডেতে যে ব্র্যান্ড তৈরি করেছে, সেটার জন্যেও শোকেসে একটি ট্রফি দরকার’

বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে রিশাদ ও মালান খেলছেন। নেটে বাংলাদেশের লেগ স্পিনারকে খেলে মনে ধরেছে তার। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের খবর টুকটাক জানা মালালেন। নিয়মিত বিপিএল বাদেও ঢাকা লিগে অংশগ্রহণ করেছেন। তাইতো রিশাদের জন্য সব প্রতিযোগিতায় খেলার দুয়ার খুলে দিতে বললেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান, ‘‘রিশাদকে অসাধারণ লাগছে। বাংলাদেশের লেগ স্পিনারদের জন্য রিশাদকে আমার আদর্শ ও প্রতিশ্রুতিশীল মনে হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব দলেরই এখন একজন মান সম্মত লেগ স্পিনার রয়েছে যারা খেলাটাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। আপনার দলে যদি একজন লেগ স্পিনার থাকে তাহলে খেলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।’’

বরিশাল বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেললেও রিশাদ সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৩টিতে। কম্বিনেশনের কারণে তার সুযোগ মিলছে না তা আগে থেকেই ধারনা দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে লেগ স্পিনারের উন্নতির জন্য ধারাবাহিক ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই তা জানিয়েছেন মালান,

‘‘তার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ম্যাচ খেলা। যত বেশি ম্যাচ সে খেলবে তত তার উন্নতি হবে। যত প্রতিযোগিতায় সে অংশ নেবে তত তার ধার বাড়বে। যেমনটা আপনি বললেন তার বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ হয়েছে। ওখানে গেলে তার উন্নতি হতো। সেখানকার ভিন্ন কন্ডিশনে সে বোলিং করতো। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানকে সে বোলিং করতো। তার জ্ঞানের পরিধি আরও বেড়ে যেত। তাতে সে আরও উৎসাহিত হতো। শুধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বাংলাদেশ ক্রিকেট নয়, সে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আমার মতে তার উন্নতির জন্য এটা ভালো উপায়।’’

‘‘সে প্রতিভাবান। উচুঁ, বল দুদিকে ঘুরাতে পারে। তার আলো স্কিল আছে, ব্যাটিংও করতে পারে। এটা অবশ্যই ভালো দিক।’’ - যোগ করেন মালান।

লিগে এখন পর্যন্ত মাত্র এক ম্যাচ খেলেছেন মালান। শুরুর দিকে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও কম্বিনেশনের কারণে তারও সুযোগ হয়নি। কাইল মায়ার্স চলে যাওয়ার পর মালান প্রথম ম্যাচে নেমে গতকাল ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন। এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। সামনে আরও ভালো করা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র জন য ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন