কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের, বিজিবির বাধায় বন্ধ
Published: 21st, January 2025 GMT
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাধা তা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সীমান্তের শূন্যরেখার মাত্র ২০ গজ ভেতরে এই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করা হয়।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী, শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের বাইরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে হবে। তবে এই আইন লঙ্ঘন করে ভারতীয় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এতে বাধা দেয় বিজিবি, ফলে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে উপজেলার ধরঞ্জি ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া সীমান্তের ২৮১ মেইন পিলারের ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ সাব-পিলার পর্যন্ত শূন্যরেখা থেকে আনুমানিক ২০ গজ দূরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ শুরু করেন বিএসএফ সদস্যরা। স্থানীয় বাংলাদেশিরা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবির হাটখোলা বিওপি ক্যাম্পকে জানান। এরপর বিজিবির সদস্যরা সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএসএফ সদস্যদের বেড়া দেওয়া কাজে বাধা দেন। তখন বিএসএফের সদস্যরা কাজ স্থগিত করে চলে যান। এর পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার ভেতরে ভোর থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছিল বিএসএফ। আমরা ঘটনাটি জানার পর বিজিবি ক্যাম্পকে জানাই। এর পর বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
বিজিবির হাটখোলা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার শাহ জাহান বলেন, বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ২০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছিলেন। আমরা কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এরপর তারা আর কাজ করেননি। আমরা আজ বিকেল তিনটায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।
জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ বলেন, বিএসএফ কাজ বন্ধ রেখেছে। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক ডাকা হয়েছে। পতাকা বৈঠকে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি।
সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস