পল্লী বিদ্যুতের জন্য কেনা হচ্ছে ৭০ কোটি টাকার স্টিল ক্রস আর্ম
Published: 21st, January 2025 GMT
ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)-এর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭১২টি স্টিল ক্রস আর্ম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৭০ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪ টাকা।
এই স্টিল ক্রস আর্ম কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড.
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের নিকট থেকে ৭০ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪ টাকায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭১২টি স্টিল ক্রস আর্ম কেনার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, বাপবিবোর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ) প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭১২টি স্টিল ক্রস আর্ম কেনার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে ৭০ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪ টাকায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭১২টি স্টিল ক্রস আর্ম কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। তার প্রেক্ষিতে আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
প্রকল্পটি ২০২২ সালের ১৪ জুন একনেক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
হাসনাত/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট দরপত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।