Samakal:
2025-09-18@04:55:50 GMT

হরেক রকম পিঠা

Published: 21st, January 2025 GMT

হরেক রকম পিঠা

শীতের দিনগুলোয় বাহারি ধরনের পিঠা না খেলে অতৃপ্তি থেকে যায়। আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। সেগুলো খুব সাধারণ ও বৈচিত্র্যহীন। আবার মানসম্মতও নয়। তাই ঘরেই বানিয়ে নিন পছন্দের পিঠা। রেসিপি দিয়েছেন কোহিনুর বেগম।

ননাশ পিঠা   
উপকরণ: চালের গুঁড়া ৫০০ গ্রাম, আদা-রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদের গুঁড়া এক চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা-এলাচ-দারচিনি ২টি করে, তেল পরিমাণমতো। 
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে পাত্রে পরিমাণমতো পানি দিন। পানি ফুটলে এর মধ্যে  হলুদ, আদা-রসুন-কাঁচামরিচ বাটা, তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি দিন। ভালো করে ফুটলে চালের গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। ঢাকনা খুলে কাঠের কাঠি দিয়ে নাড়ুন। এরপর খামির ভালো করে মাখাতে হবে। এবার বড় রুটি তৈরি করতে হবে। রুটি বেশি পাতলাও হবে না, আবার মোটাও হবে না। একটি গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট লুচির আকার তৈরি করে নিন। চুলায় একটি পাত্রে তেল দিয়ে পিঠাগুলো ভেজে নিন। এই পিঠা মাংস ও ভর্তা দিয়ে খেতে সুস্বাদু।

মুগ পাকন পিঠা   
উপকরণ: মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, চালের গুঁড়া ৪০০ গ্রাম, তেজপাতা-এলাচ-দারচিনি ৪টি করে, চিনি ৫০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল ৫০০ গ্রাম, ডিজাইন করার জন্য সুই অথবা খেজুরের কাঁটা, পানি পরিমাণমতো। 
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে চিনির সিরা তৈরি করতে হবে। এ জন্য পাত্রে ৫০০ গ্রাম চিনি ও পানি নিয়ে জ্বাল দিন। এতে দুটো করে তেজপাতা, এলাচ ও দারচিনি দিন। সিরা আঠালো হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এবার প্রথমে মুগ ডাল ধুয়ে সেদ্ধ করুন। তাতে দুটো করে দারচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিন। মুগ ডালগুলো ডাল ঘুঁটনি দিয়ে ঘুঁটে নিন। এবার চালের গুঁড়া দিয়ে ১০ মিনিট মৃদু আঁচে ঢেকে রাখুন। চালের গুঁড়া আর ডাল ভালো করে মিশিয়ে খামির তৈরি করুন। বেলুন-পিঁড়িতে অল্প তেল মাখিয়ে তাতে মোটা করে রুটি বেলে নিন। এবার পছন্দের আকারে অর্থাৎ পাতা, ফুল কিংবা অন্যান্য নকশার আকারে কেটে নিন। সুই অথবা খেজুর কাঁটা দিয়ে ডিজাইন করুন। পাত্রে তেল গরম করে পিঠাগুলো লাল লাল করে ভেজে নিন। ভাজা পিঠাগুলো সিরার মধ্যে ডুবিয়ে মিনিট খানেক রেখে তুলে নিন।

নারকেলের চমচম পিঠা   
উপকরণ: কোড়ানো নারকেল ১টি, চালের গুঁড়া ৪০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, তেজপাতা-এলাচ-দারচিনি ৪টি করে, তেল পরিমাণমতো। 
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে সিরা তৈরি করুন। এ জন্য পাত্রে চিনি ও পানি সমপরিমাণে নিয়ে তাতে দুটি করে তেজপাতা, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে জ্বাল দিন। সিরা ঘন ও আঠা আঠা ভাব হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে ৪ কাপ পানি, নারকেল, দুটি করে তেজপাতা, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। চালের গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। চালের গুঁড়া ও নারকেল ভালো করে মেখে খামির তৈরি করুন। খামির মাখিয়ে ছাঁচের মধ্যে দিয়ে পিঠার আকার তৈরি করতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে পিঠাগুলো লাল লাল করে ভেজে নিন। ভাজা হলে চিনির সিরায় দিয়ে ১০ মিনিট পর উঠিয়ে নিন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ৫০০ গ র ম ১০ ম ন ট এল চ ও প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি