কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ঢাবি ছাড়াও আরও সাতটি আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) একটি।

ভর্তি যুদ্ধের আগে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে অচেনা জায়গায় পরীক্ষার কক্ষ খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বাকৃবি কেন্দ্রের আওতায় থাকা পরীক্ষার্থীদের হলের অবস্থান নির্ণয়ে ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ নামক মোবাইল সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন উদ্ভাবন করেছে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা।

এর  মাধ্যমে বাকৃবি কেন্দ্রস্থ পরীক্ষার হলের অবস্থান ও সেখানে যাওয়ার সহজ পথ দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা নিজের রোল নম্বর দিয়ে অনলাইনে সার্চ করলেই পরীক্ষার হলের অবস্থান জানতে পারবেন। এ লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাপের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে যাবে ঢাবি ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। 

বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে পূর্বে নির্মিত সফটওয়্যারটি আপডেটেড ভার্সন উদ্ভাবন করেছেন বায়োইনফরমেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক হাওলাদার (তৃতীয় বর্ষ), মুহাম্মদ ইশমামুল হক (দ্বিতীয় বর্ষ) ও মো.

আসিফুজ্জামান (প্রথম বর্ষ)।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদীয় সভা কক্ষে সফটওয়্যারটির আপডেটেড ভার্সন উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. জয়নাল আবেদীন, বাকৃবি আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী, ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন।

সফটওয়‍্যারের বিষয়ে নির্মাতারা বলেন, সফটওয়‍্যারটিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের সম্পূর্ণ মানচিত্রকে ডিজিটালি সংযুক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যখন সফটওয়্যারে রোল নম্বর দেবেন, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যারটি তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার হলের অবস্থান খুঁজে বের করবে এবং গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার সহজ রাস্তা দেখিয়ে দেবে। এতে পরীক্ষার্থীদের সময় বাঁচবে এবং কক্ষ খুঁজে পাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে।

সফটওয়্যারের আপডেটেড ভার্সনটিকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ডিন অধ্যাপক মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, “কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকদের সহযোগিতায় এবং ড. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রদের নিয়ে অ্যাপটি আপডেট করা হয়েছে। এর জন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।”

তিনি আরো বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ থেকে যারা পরীক্ষা দিতে আসবে, তারা কোন ঝামেলা ছাড়াই যেন পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারে। এজন্যই মূলত অ্যাপটি আপডেট করা হয়েছে।”

সফটওয়্যারটির ভবিষ্যৎ নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীরা এ ধরনের বাস্তব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে, যা তাদের কর্মজীবনে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে এবং দ্রুত চাকরি পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে, এ ধরনের সমাধানগুলোর মাধ্যমে ক্যাম্পাস ধীরে ধীরে অটোমেশনের দিকে এগিয়ে যাবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ র র সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার

আবারও বাজার থেকে সাইবারট্রাক ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। এবার এর কারণ সফটওয়্যার নয়, সরাসরি যান্ত্রিক ত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৯৭টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহারের বা রিকলের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, এসব গাড়ির সামনের লাইটবার খুলে পড়ে সড়কে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ মডেলের কিছু সাইবারট্রাকে লাইটবার বসানোর সময় ভুল ধরনের ‘সারফেস প্রাইমার’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আঠালো সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সহজভাবে বললে, টেসলা কিছু গাড়িতে লাইটবার লাগাতে ভুল আঠা ব্যবহার করেছিল। যেসব গাড়িতে এই ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর লাইটবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুনভাবে লাইটবার বসানো হবে। সবই গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে। প্রায় ৬ হাজার ২০০টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার মানে টেসলার বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির প্রায় ১০ শতাংশই সমস্যাগ্রস্ত।

এর এক সপ্তাহ আগেই আরও একটি বড় ত্রুটির কারণে ৬৩ হাজার ৬১৯টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, গাড়ির সামনের পার্কিং লাইট অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় তা সামনের দিক থেকে আসা গাড়ির চালকদের দৃষ্টিকে ব্যাহত করতে পারে। তবে সেই সমস্যা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। টেসলার সাইবারট্রাক নিয়ে একের পর এক প্রত্যাহার এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর অনেক সমস্যাই হার্ডওয়্যার–সংক্রান্ত, যেগুলো দূর থেকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিটা প্রকল্প যথাযথ পরিমার্জনের আহ্বান
  • লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার