গণআন্দোলনে আহত সাত জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইটে করে তারা সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণআন্দোলনে আহত আব্দুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো.

ইয়ামিন, ফয়েজ আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়াইবকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল আই সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ওই সাত জন আগে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছিলেন।   

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যায়বিচারের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে: ধর্ষণ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা

জুলাই গণআন্দোলনে শহীদের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা এবং মাগুরার সেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আপনাদের মতো আমিও শোকাচ্ছন্ন। কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। নরপশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’

রোববার রাত ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লেখেন, ‘জুলাই গণআন্দোলনে একজন শহীদের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পটুয়াখালীর দুমকিতে গ্রামের বাড়িতে বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এই গভীর বেদনাময় ঘটনা আমাদের স্তদ্ধ করেছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এর বিচার করব। এই পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বন্দি আছে (তাদের জামিনের খবরটি ভুল)। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নিয়েছি। তারা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চার্জশিট দেবে। এরপরই বিচার শুরু হবে, সংশোধিত আইন অনুসারে বিচার শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে রায় প্রদান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ডিএনএ স্যাম্পল অনুকূলে থাকলে এর অনেক আগেই বিচার শেষ হওয়ার কথা।’

মাগুরায় সেই শিশু ধর্ষণের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা লেখেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের চার্জশিট পাওয়ার পর গত বুধবার বিচার শুরু হয়েছে। ডিএনএ স্যাম্পল ও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি থাকার কারণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম যে বিচারকাজ শুরু হওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে। আশা করি এর ব্যত্যয় হবে না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বিচারকাজে দু’চারদিন দেরি হলে আপনাদের কষ্ট হয়। সেটা বোধগম্য। কিন্তু বিচার যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিলে গেলে রায়টা টিকবে না। এটা যদি হয়, এর চেয়ে শোচনীয় আর কিছুই হতে পারে না। আপনাদের মতো আমিও শোকাচ্ছন্ন, কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। নরপশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ন্যায়বিচারের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে: ধর্ষণ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা