প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান
Published: 10th, July 2025 GMT
প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে এখন সচেতনতা তৈরি থেকে বাস্তবায়নের পথে এগোতে হবে। এ সংকট মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে পেতে যুক্ত করতে হবে তরুণদেরও। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ রক্ষা করতে স্থানীয় পর্যায় থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের প্রজেক্ট সার্ভিস অফিস (ইউএনওপিএস), বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ইউএনওপিএসের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন বলেন, প্লাস্টিক কতটা ক্ষতিকর, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ দূষণ বন্ধে এখনই সময় সচেতনতা থেকে বাস্তবায়নের পথে যাওয়া।
ইউএনওপিএসের এই কর্মকর্তা বলেন, বাস্তবায়নের ঘাটতিকে অনেক সময় হালকাভাবে নেওয়া হয়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে বাস্তবায়নের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে হবে। জাতিসংঘের প্লাস্টিক ট্রিটির (চুক্তি) আলোকে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ে অন্যতম পথপ্রদর্শক। তবে এখনো অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। তিনি উদ্ভাবনী সমাধান বের করতে তরুণদের যুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেন, পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য এখন প্লাস্টিকের দূষণের কারণে সংকটের মুখে পড়েছে। বিমসটেক দেশগুলোতে মোট ১৮০ কোটি মানুষ আছে। প্রত্যেকে প্লাস্টিক দূষণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। তাই এ দূষণ বন্ধে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, প্লাস্টিক শুধু পরিবেশগত সংকট নয়, এটি শিল্প, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক সংকটও। শিল্প মন্ত্রণালয় উৎস থেকে দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিমসটেক অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতা বাড়াতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.
পরিবেশ অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় কর্মকৌশল বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র সংস্থা হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরের লক্ষ্য একদম পরিষ্কার। সেটি হলো প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ৫০ শতাংশ বাড়ানো ও ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ (একবার ব্যবহার্য) প্লাস্টিক কমানো।
এ লক্ষ্য পূরণে পরিবেশ অধিদপ্তর বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে কামরুজ্জামান বলেন, ‘নীতিকাঠামো শক্তিশালী করা, উদ্ভাবন বাড়ানো, ভোক্তাদের আচরণগত পরিবর্তন উৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে আমরা এ অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।’
প্লাস্টিক দূষণ কমাতে এগুলো পর্যাপ্ত নয়, পাশাপাশি নিজেদের ভোক্তা মানসিকতাতেও পরিবর্তন আনতে হবে বলে মত দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক সহয গ ত ব মসট ক লক ষ য ন বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বিশাখাপত্তনমে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় মাঠে গড়িয়েছে ম্যাচটি। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের ম্যাচে বাংলাদেশ দুটি পরিবর্তন এনেছে। অস্ট্রেলিয়াও তাদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে।
আরো পড়ুন:
নাঈমকে বাদ দিয়ে সৌম্যকে ফেরাল বিসিবি, নতুন মুখ মাহিদুল
বিশ্বকাপের আরো এক ম্যাচ বৃষ্টির পেটে
টস জিতে জ্যোতি বলেন, “আজ আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বোর্ডে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করানো। আগের ম্যাচে আমরা কমপক্ষে ৩০–৪০ রান কম করেছি। আজ দলে দুটি পরিবর্তন এনেছি ফারিহা তৃষ্ণা ও নিশিতা আখতার ফিরেছেন একাদশে। আমাদের বোলিং ইউনিটটা খুবই শক্তিশালী। আগের ম্যাচে নাহিদা আক্তার চোট পেয়েছে, ওর কিছুটা সময় লাগবে সেরে উঠতে। আগের ম্যাচের পর মানসিকভাবে সামলে ওঠা কঠিন ছিল, কিন্তু কোনো অজুহাত দিতে চাই না। আমরা চাই খেলা উপভোগ করতে, নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিতে।”
অ্যালিসা হিলি বলেন, “আমিও আসলে টস জিতলে ব্যাটিংই নিতে চেয়েছিলাম। আজ বাতাসটা মনোরম, সূর্যের আলোও ভালো—মেয়েরা খেলতে উপভোগ করবে নিশ্চয়ই। ২০১১ সালে এই মাঠটা ছিল আমার প্রিয় জায়গা, তাই এখানে খেলতে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। নতুন প্রতিপক্ষ, নতুন চ্যালেঞ্জ। দলে দুটি পরিবর্তন এনেছি- ডার্সি ব্রাউন ফিরেছে কিম গার্থের জায়গায়, আর জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম খেলছে সোফি মোলিনিউক্সের জায়গায়। ইন্দোরে টানা দুইটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে, তাই সবাইকে সতেজ রাখতে চাই। ব্রাউনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, ও কীভাবে শুরু করে সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।”
বাংলাদেশ একাদশ:
রুবিয়া হায়দার, ফারজানা হক, শারমিন আখতার, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), সোবহানা মোস্তারি, শর্না আখতার, ফাহিমা খাতুন, রাবেয়া খান, রিতু মনি, নিশিতা আখতার নিশি ও ফারিহা তৃষ্ণা।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ:
অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), ফিবি লিচফিল্ড, এলিস পেরি, বেথ মুনি, আনাবেল সাদারল্যান্ড, অ্যাশলি গার্ডনার, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম, ডার্সি ব্রাউন, আলানা কিং ও মেগান শাট।
ঢাকা/আমিনুল