ভারত কি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছে
Published: 10th, July 2025 GMT
বছরের পর বছর সীমান্তজুড়ে উত্তেজনার পরও ভারত ও চীন ধীরে ধীরে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দুই দেশের সামনেই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, পারস্পরিক সন্দেহের বিষয়টিও এখনো রয়ে গেছে।
গত মাসের শেষ দিকে ভারতের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা চীন সফর করেন। এটিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বরফ গলার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জুনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) বৈঠকের অংশ হিসেবে আলাদাভাবে চীন সফর করেন। রাজনাথের এ সফর ছিল গত পাঁচ বছরে চীনে কোনো জ্যেষ্ঠ ভারতীয় কর্মকর্তার প্রথম সফর।
এসসিও ১০ সদস্যের একটি ইউরেশীয় নিরাপত্তা জোট। ভারত, চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তানও এই জোটের সদস্য।
ভারত-চীন উত্তেজনার মূল কারণ
ভারত-চীন উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত নয় এমন ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত সীমান্ত। সীমান্তজুড়ে নদী, হ্রদ ও তুষারাবৃত পাহাড় থাকায় সীমান্তরেখা প্রায়ই স্থানান্তরিত হয়। এতে অনেক জায়গায় ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে, যা থেকে কখনো কখনো সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘাতের পর সংকট চরমে ওঠে। এটি ছিল ১৯৭৫ সালের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম প্রাণঘাতী সংঘর্ষ। এতে অন্তত ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হন।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে দেশ দুটির সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান বা অচলাবস্থা দেখা দেয়।
জুনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) বৈঠকের অংশ হিসেবে আলাদাভাবে চীন সফর করেন। রাজনাথের এ সফর ছিল গত পাঁচ বছরে চীনে কোনো জ্যেষ্ঠ ভারতীয় কর্মকর্তার প্রথম সফর।তবে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বাস্তব পরিস্থিতি দুপক্ষকে কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে উৎসাহিত করছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছরের শেষের দিকে দুই দেশ লাদাখের বিবাদপূর্ণ স্থানগুলোর বিষয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে।
এ ছাড়া এ বছর জানুয়ারিতে দিল্লি ও বেইজিং সরাসরি বিমান চলাচল পুনঃস্থাপন করেছে। ২০২০ সালের সংঘর্ষের পর আরোপিত ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়েও একমত হয়েছে তারা।
ওই মাসেই ছয় বছর পর ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে অবস্থিত কৈলাস পর্বত এবং ধর্মীয়ভাবে পবিত্র বলে বিবেচিত একটি হ্রদ দর্শনের অনুমতি পেয়েছিলেন।
এরপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন।
২০১৮ সালে চীন সফরে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ন সফর স ঘর ষ র জন থ
এছাড়াও পড়ুন:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন হয়েছে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষে দলটির মহাসচিব আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ বুধবার রিটটি দায়ের করেন।
বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম।