ভারতজুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হবে আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে ১০ দিনের মহড়া চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপস অ্যালার্ট’। 

বিএসএফের বিবৃতি অনুসারে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে ভারতের। ২২ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিন সীমান্ত বরাবর অপারেশন অ্যালার্ট চালানো হবে। মূলত নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সীমান্ত ফাঁড়িগুলোকে শক্তিশালী করতে এই মহড়া শুরু হয়েছে। ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ চলাকালীন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টহল এবং অন্য মহড়া সম্পর্কিত কার্যকলাপ আরও জোরদার করা হবে। 

বিএসএফের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রবি গান্ধী জওয়ানদের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত মোতায়েন তদারকির জন্য দক্ষিণবঙ্গের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। সীমান্ত এলাকায়, বিশেষ করে রিভারাইন ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় বাহিনীকে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রবি গান্ধী।
 
৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্কে নানা ইস্যুতে শীতলতা এসেছে। তার আঁচ পড়েছে সীমান্তেও। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, কোচবিহার, মালদহসহ কয়েকটি জেলায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী