নানা নাটকীয়তা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর লকার খুলেছে দুদক কর্মকর্তারা। সেখানে মিলেছে স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও এফডিআর নথি। রোববার সকাল ১০টায় দুদকের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে হাজির হন। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে লকার খুলতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়।

জানা গেছে, লকার থেকে নগদ ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার এবং ৫৫ হাজার ইউরো পাওয়া গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআরের নথি পাওয়া যায়।

গত ১৪ জানুয়ারি এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করে দুদক। সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুদকের নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)।

২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানায়। 

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর এস কে সুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সম্পদের বিবরণী নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই বছরের মার্চে তাকে দুদকে তলব করা হয়। এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।

অভিযোগ আছে, এস কে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন এবং সুবিধা নিয়েছেন।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী আন্দোলন ২৭নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন সম্পন্ন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৭নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে রবিবার (২ নভেম্বর) বাদ মাগরিব ওয়ার্ড কার্যালয়ে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগ সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বিশেষ অতিথি নগর সংখ্যালঘু সম্পাদক আবুল হাসেম, নগর সহ-অর্থ সম্পাদক মুহা. আ. হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু, সমন্বয়ক মাও. মাসুদুল করীমকে মনোনীত করা হয়।

মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আগামী দিনে দেশের কান্ডারীদেরকে ক্ষমতায় বসাবে জনগণ। যারা দেশ ও দশের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রের টাকায় বিদেশে বাড়ী বানায় না। দেশের সম্পদ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগায় তাদেরকে দেখতে চায় আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। তারােই হবে দেশবান্ধব রাষ্ট্রপ্রধান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ