Samakal:
2025-11-03@20:38:24 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

Published: 28th, January 2025 GMT

মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনেও হতাশা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়া ফলিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন কৃষক। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে শীতকালীন সবজির প্রাচুর্য থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। বিক্রি করতে না পারায় অনেকে খেতেই ফেলে রাখছেন ফসল। 
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে এবার ৭শ হেক্টর বেশি জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন কৃষকরা। 
সরেজমিন দেখা যায়, ভোলাহাটের তালপল্লি থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টিকুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন চাষিরা। আগে জমি থেকে বিক্রি হয়ে গেলেও এখন আর বিক্রি হচ্ছে না। অনেককে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার করে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন কৃষক জানালেন, মৌসুমের শুরুতে মিষ্টিকুমড়া ১২-১৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৪-৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে বেগ পেতে হচ্ছে চাষিকে। 
মিষ্টিকুমড়া চাষি মো.

শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, তিনি গত বছর এক বিঘা জমির মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লাভ 
করেছিলেন। এবার এক বিঘা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। সময়মতো বীজ না পাওয়ার কারণে আবাদ 
করতে দেরি হয়েছে। দেরিতে ফলন পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে মিষ্টিকুমড়ার দাম পড়ে গেছে। 
৪৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছিলেন জানিয়ে আব্দুস সামাদ নামে এক চাষি বলেন, মৌসুমের শুরুতে ১৪শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছেন। এখন ৫শ টাকা মণ দরেও বিক্রি করতে পারছেন না। 
আরেক কৃষক মো. হুসেন আলী বলেন, তিনি এবার ৫৫ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। প্রথম দিকে জমিতেই পাইকাররা ১ হাজার টাকা মণ দরে কিনে নিয়েছেন। এখন কেউ কিনতে আসছেন না। জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে শ্রমিক দিয়ে খেত পরিষ্কার করেছেন। এখন রাস্তার পাশে মিষ্টিকুমড়া পড়ে আছে, পাইকার নেই। 
কয়েকজন সবজি পাইকারের ভাষ্য, এলাকা থেকে মিষ্টিকুমড়া কিনে তারা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। টাকা খরচ করে ঢাকায় নিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না। শীতের সবজির দাম কমে যাওয়ায় বর্তমানে তারা কুমড়া আর কিনছেন না। 
সবজির পাইকার মো. মাসুদ বলেন, তিনি আগে ১৫শ টাকা মণ দরে মিষ্টিকুমড়া কিনেছেন। এখন কৃষকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা মণ কিনতে পারলেও বাজারে চাহিদা না থাকায় কেনা বন্ধ রেখেছেন। বাম্পার ফলনের কারণে ফুলকপি চাষিদের মতোই লোকসানে মিষ্টিকুমড়া চাষিরা। 
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী বলেন, বাজারে জোগান বেশি হওয়াতে স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমে গেছে। ভোলাহাটে মিষ্টিকুমড়ার উৎপাদন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। পরিপক্ব মিষ্টিকুমড়া আগামী ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। এটি সংরক্ষণ করে রেখে কয়েক মাস পরে বিক্রি করলে কৃষক ভালো দাম পাবেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সবজ কর ছ ন সবজ র ন সবজ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ