বইমেলায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 31st, January 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় একজন নিরাপরাধ লোকের গায়েও আমার সহকর্মীরা আঘাত করবে না। তবে আইন ভঙ্গকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক বই এবার মেলায় আসার সুযোগ নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলায় যাতে বিতর্কিত বই না আসে; সেজন্য বাংলা একাডেমির সমন্বয় সভায় জানানো হয়েছে। এবার নতুন বই প্রকাশের আগে বাংলা একাডেমি সেই বই পুঙ্খানুপুঙ্খানভাবে দেখে তারপর স্টলে দিবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) নজরুল বলেন, আগামী অমর একুশে বইমেলায় কোনো বই প্রকাশের আগে বইয়ের পাণ্ডুলিপি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। কর্তৃপক্ষ সেটি দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন বই প্রকাশের অনুমতি দিবেন কী না।
তিনি বলেন, বইমেলা এলাকায় রাত দিন ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় হকার্সদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মেলায় কোনো জিনিসের দাম অতিরিক্ত নেওয়া হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে কোনো ময়লা আবর্জনা রাখবেন না। পরিস্কার পরিচ্ছন্নের বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মহসিন হলের মাঠ, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ, ফুলরা রোডের এক লেন ও জিমনেসিয়াম মাঠে দর্শনার্থীরা গাড়ি পার্কিং করতে পারবেন। এছাড়া শাহবাগ ক্রসিং থেকে টিএসসি অভিমুখী গাড়িগুলো মেলায় আগত অতিথিদের বইমেলার টিএসসি প্রবেশ গেটের সামনে নামাবে। পরে গাড়ি রাজু ভাস্কর্য ইউটার্ন বা লেফটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিংয়ে অবস্থান করবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এমপ ব যবস থ এল ক য বইম ল ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ