হবিগঞ্জে জামিনের ভুয়া নথি দেখিয়ে কারাগার থেকে ৪ আসামি বের করে নেওয়ার অভিযোগে আটক হোসাইন মো. আরিফ (২৫) নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এদিকে শুক্রবার এ ঘটনায় আমলি আদালত-৬ এর জিআরও এএসআই মো. মীর কাশেম বাদি হয়ে আরিফকে প্রধান করে আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ সদর থানায় জালিয়াতির মামলা করেছেন। এ প্রেক্ষিতে একইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ আরিফকে আদালতে সোপর্দ করে। এসময় তিনি আদালতে দীর্ঘ জবানবন্দিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে এবং এই চক্রের সাথে কারা জড়িত তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়টি জানান হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির। 

পুলিশ জানায়, আরিফ আদালতে চা, বিস্কুট আনা নেওয়ার কাজ করতেন। আরিফ হবিগঞ্জ সদরের এড়ালিয়া গ্রামের মন্নর আলীর ছেলে। 

জামিনের ভুয়া নথি দেখিয়ে গত বুধবার কারাগার থেকে বের হয়ে যান মাদক মামলার ৪ আসামি। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফয়সল বৃহস্পতিবার জানতে পারেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হোসাইন মো.

আরিফকে আটক করা হয়।

কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামর আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাঁও গ্রামের সুয়েব মিয়া।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ