দীর্ঘদিন পর সংগীতের মঞ্চে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। শ্রোতারাও মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে গুলশানের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শনিবার সকালে সাবিনা ইয়াসমীনের মেয়ে সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন ফায়রুজ বাঁধন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাবিনা ইয়াসমীনকে চিকিৎসকেরা এখনো পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তাকে আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।’
আজ একই মঞ্চে গাওয়ার কথা ছিল সাবিনা ইয়াসমীনের। ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মঞ্চে গাওয়ার কথা রয়েছে বরেণ্য এই শিল্পীর। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ও চিকিৎসকের পরামর্শে আপাতত কোনো অনুষ্ঠানে গাওয়া হবে না—এমনটাই জানিয়েছেন ইয়াসমিন ফায়রুজ বাঁধন।
গতকাল রাতে সংগীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাইদ বলেছিলেন, ‘সাবিনা আপার ভার্টিগো সমস্যা রয়েছে। হঠাৎ গাইতে গাইতে তিনি ভার্টিগো সমস্যায় পড়েন। এরপর মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড ধরতে গিয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেননি। পড়ে যান। তারপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক সব চিকিৎসা করেন।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন বরেণ্য এই শিল্পী। অসুস্থতার কারণেই গান থেকে দূরে ছিলেন। এখন খানিকটা সুস্থ বোধ করায় আবারও স্টেজ শোয়ে ফিরেছিলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।