নোয়াখালীতে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর লাশ, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
Published: 30th, April 2025 GMT
নোয়াখালীতে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মা সাবরিনা খাতুন ঝুমার অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
জোবায়ের সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে। সে তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
জোবায়েরের চাচা আমিনুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার পরিচালক ফোন করে জানান, জোবায়ের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মাদ্রাসায় গিয়ে আমরা কাউকে পাইনি। পরে আবার ফোন করে পরিচালক বলেন– নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান। জোবায়ের গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমরা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি জোবায়েরের মরদেহ মর্গে রাখা আছে।’
শামীম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে মাদ্রাসার শিক্ষকরা নির্যাতন করে হত্যা করে দ্রুত লাশ ঘরে রাখে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ভাতিজাকে এর আগেও নির্যাতন করেছে শিক্ষকরা।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার পরিচালক আফজাল হোসাইন বলেন, ‘ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদ্রাসার শৌচাগারে ঢোকে। তখন আরও দুই ছাত্র শৌচাগারে ঢোকার অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জোবায়ের পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা ধাক্কাধাক্কি করলে শৌচাগারের দরজা খুলে যায়। পরে তারা জোবায়েরের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো.
সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’
ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’