সামান্য বৃষ্টিতেই নোয়াখালী সরকারি কলেজ চত্বরে সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। এতে শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিতে কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু করে একাডেমিক ভবনের সামনের পথগুলো হাঁটু সমান পানিতে ডুবে আছে।

বিশেষ করে সকালে ক্লাসে প্রবেশ ও বিকেলে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার বৃষ্টি হলেই একই অবস্থা হয়। অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হয়। এমনকি কেউ কেউ বিড়ম্বনা এড়াতে বাড়িতেই থেকে যান।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার বলেন, “বৃষ্টি হলেই কলেজের সামনে এবং কলেজের ভিতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অতিবৃষ্টির প্রয়োজন হয় না।”

তিনি আরো বলেন, “একটা কলেজ প্রতিবার বৃষ্টির সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছে। অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নোয়াখালীর সুনামধন্য কলেজের এমন বেহাল দশা মেনে নেওয়া কষ্টের। আমরা কলেজ প্রশাসনকে অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একই চিত্র দেখা যায়।

এ বিষয়ে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খুব শীঘ্রই কার্যকরী ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করব। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।”

তিনি বলেন, “কলেজ প্রশাসন এ সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এ কার্যক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হবে।”

ঢাকা/সুমাইয়া/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ