পুঁজিবাজারে ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে অনেকেই একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ বিক্রি ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তা আড়াল করছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। তাই একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার না করার পরিবর্তে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৪ তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৪ তম কমিশন সভা গত ২৯ এপ্রিল কমিশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিএসই ও সিএসই এর ২৯১টি ডুয়েল ট্রেকহোল্ডারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩টি ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। 

এছাড়া ১৭৮টি ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও সিএসইর ৮২টি সিঙ্গেল ট্রেকহোল্ডারের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৮টি ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। আর ১৫টি ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে সার্বিক বিবেচনায় কমিশন অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। 

উল্লেখ্য, অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সিডিবিএলে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্য ও স্টক ব্রোকারের নিকট রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্যের মধ্যকার গরমিল হ্রাস পাবে।

ঢাকা/এনটি/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ হিসেবে আমরা বলেছি, বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।”

সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে পুঁজিবাজার অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী; সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

রাতে সভার বিষয়ে তথ্য দেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সমন্বয় সভায় অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দুই পরিচালক কিনছেন পৌনে ১৮ লাখ শেয়ার

নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে শাহজালাল ব্যাংক

তিনি ববলেন, “সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। আর পুঁজিবাজারের সব স্টেকহোল্ডার সভায় উপস্থিত ছিলেন। ফলে এই সমন্বয় সভায় ওয়াইড রেঞ্জ অব ডিসকাশন ছিল। বিএসইসি অত্যন্ত সহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। সভায় আমরা প্রতিটি ইস্যুই অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি সমসাময়িক ও গোয়িং ফরওয়ার্ড ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

“এ ছাড়া মার্কেটে কী কী সমস্যা রয়েছে যেমন- নেগেটিভ ইক্যুইটি, ইনভেস্টেবল স্টক কম, সাপ্লাই সাইট শক্তিশালী করা এবং মার্কেটে গভর্নেন্স নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে,” বলেন সাইফুল ইসলাম।

ডিবিএ সভাপতি বলেন, “বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে আজকে এ অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য সভায় ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। বর্তমানে মার্কেটে যে মোমেন্টাম এসেছে, সেটা আমরা ধরে রাখতে চাই এবং সেটাকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “আগে দেওয়া নির্দেশনার ব্যাপারে কাজ হচ্ছে। বিএসইসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে আমরা কিছু ডেভেলপমেন্ট দেখতে পাচ্ছি। আমরা মার্কেটকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অমরা বাজারের লেনদেনটাকে আরো বাড়াতে এবং ইনডেক্সটাকে ধরে রাখতে চাই।”

সমন্বয় সভায় আইসিবির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিএসই ও সিএসইর চেয়ারম্যান, ডিবিএ সভাপতি, বিএমবিএ সভাপতি, বিএপিএলসি সভাপতি, সিডিবিএল সিইও, সিসিবিএল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, আইসিবি এএমসিএল সিইও, ভিআইপিবি এএমসিএল সিইও এবং বিএসইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান
  • নারী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে সময় বাড়াল বিএসইসি
  • পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
  • ফুটবল ম্যাচ কেন ৯০ মিনিটের হয়
  • বিএসইসির নতুন কমিশনার সাইফুদ্দিন
  • চীন–যুক্তরাষ্ট্র, আবারও তিন মাসের বাণিজ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
  • ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে রাশিয়াকে ১০-১২ দিনের সময়সীমা ট্রাম্পের
  • উইন্ডোজ ১১ আপডেট করতে না পারার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মাইক্রোসফট
  • পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
  • বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি