সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নিয়ে ফের আন্দোলনে নামা গণঅভ্যুত্থানে আহতরা শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় অবরোধ করেছেন।

রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতালের) সামনে থেকে সরে গিয়ে তারা ওই মোড়ে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “আমাদের দুজন সহযোদ্ধা আহত হওয়ায় ৪টার পরিবর্তে ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে যদি কোনো উপদেষ্টা দেখা না করেন, তাহলে আমরা সচিবালয় নয়, সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে যাব।’’

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি, ব্যানারে ‘৪৭-৭১-২৪’

আন্দোলন আপডেটের অ্যাপ তৈরির দাবি জানাচ্ছি: শাওন

‘‘অন্তর্বর্তী সরকার রাস্তা বন্ধ করতে আমাদের বাধ্য করেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা কী করছে, কী খাচ্ছে, কোথায় থাকছে— সেই খবর কেউ নিচ্ছে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা বুঝে গেছে, সব বাটপার।”

শরীফ বলেন, “আমরা বলতে চাই, আন্দোলন গতবারের আন্দোলনের মতো নয়। হাসিনার বন্দুকের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলাম। অন্ধ হয়ে গেছি, খোড়া হয়ে গেছি, ভয় করি নাই। যদি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়, হাসিনা গেছে যে পথে তারাও যাবে সেই পথে।”

তিনি বলেন, ‘‘আমরা গতকাল রাত থেকে আন্দোলন করছি। এখন পর্যন্ত কোনো উপদেষ্টা আমাদের এখানে যোগাযোগ করেনি। আমরা ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলাম। দরকার হলে আমরা কেউ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।’’

ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ট ম ট ম

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ