বিতর্কের ছায়া থাকলেও মাঠের লড়াই জমজমাটই ছিল এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্ব, সামনে প্লে-অফের লড়াই। তবে দলগুলোর চূড়ান্ত লড়াইয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতা ছিল নজরকাড়া।

ব্যাট হাতে এবারের আসরে দারুণ পারফর্ম করেছেন দেশি ক্রিকেটাররা। শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে প্রথম চারজনই বাংলাদেশি। তবে তাদের মধ্যে তিনজনের দল বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তানজিদ হাসান তামিমের দল ঢাকা ক্যাপিটালস আগেই ছিটকে গেছে। অন্যদিকে বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার তাসকিন আহমেদের দল দুর্বার রাজশাহীও প্লে-অফে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

রানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ঢাকার তানজিদ তামিম। দল ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগতভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই ওপেনার। ১২ ম্যাচে ৫টি ফিফটি ও ১টি সেঞ্চুরির সাহায্যে করেছেন ৪৮৫ রান, গড় ৪৪ এর বেশি ও স্ট্রাইকরেট ১৪১.

৩৯। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন খুলনার নাইম শেখ, যার রান ৪৪৪। প্লে-অফে এলিমিনেটর ম্যাচে তিনি থাকছেন, সেখানে ভালো খেললে তার সামনে আরও দুই ম্যাচের সুযোগ থাকবে। ১৪৮ স্ট্রাইকরেটে ৩টি ফিফটি ও ১টি সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে।

তৃতীয় স্থানে থাকা এনামুল হক বিজয়ের (দুর্বার রাজশাহী) সংগ্রহ ৩৯২ রান। ১৩০ স্ট্রাইকরেটে তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি ফিফটি করেছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জাকির হাসানের রান ৩৮৯, আর পঞ্চম স্থানে থাকা চিটাগাং কিংসের ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক করেছেন ৩৭৭ রান।

বোলিংয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ। পুরো আসর জুড়ে দারুণ ফর্মে থেকে ২৫ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। তার দল বিদায় নেওয়ায় তাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বরিশালের ফাহিম আশরাফ ও রংপুর রাইডার্সের আকিব জাভেদের সামনে। বরিশালের বিদেশি পেসার ফাহিম আশরাফ ২০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। রংপুরের আকিব জাভেদ এখন পর্যন্ত শিকার করেছেন ১৯ উইকেট। ১৮ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন চিটাগাং কিংসের দেশি পেসার খালেদ আহমেদ। খুলনার আবু হায়দার রনি ও রংপুরের খুশদিল শাহ নিয়েছেন ১৭টি করে উইকেট।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল কর ছ ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেয়ানে সেয়ানে টক্করে বার্সা ও ইন্টারের কে কত নম্বর পেলেন
  • সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম