মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিকুল ইসলামকে (বীর উত্তম) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাঁদপুর কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে চাঁদপুর কার্যালয়ে হাজির হয়ে আনিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে তিনি সশরীরে উপস্থিত না হয়ে ডাকযোগে তার বক্তব্যের চিঠি পাঠান।

১৪ জানুয়ারি দুদক চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মো.

সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ ও নদী খননের অর্থ আত্মসাৎ, সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে টাকা পাচারসহ নামে বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে- চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে সারা বাংলাদেশে সাবেক এমপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যেসব ইনকোয়ারি শুরু হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই প্রথম গোয়েন্দা রিপোর্ট আসে।

ঢাকা থেকে আমাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের পারমিশন দেওয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। যেহেতু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন তাই গত ১৪ জানুয়ারি তাকে নোটিশ দেওয়া হয়। ২ ফেব্রুয়ারি সশরীরে কার্যালয়ে এসে তার বক্তব্য উপস্থাপনের নোটিশ দিলে তিনি সশরীরে উপস্থিত না হয়ে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়েছেন। দুপুরের পর আমরা চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করব।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, দুদক আমাকে চিঠি দিয়েছে। আমি সেটির জবাব ডাকযোগে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে আমার এখন আর বলার কিছু নেই।

প্রসঙ্গত, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ