Risingbd:
2025-05-01@05:02:26 GMT

ফেনীতে সড়কে ঝরল ৩ যুবকের প্রাণ 

Published: 3rd, February 2025 GMT

ফেনীতে সড়কে ঝরল ৩ যুবকের প্রাণ 

ফেনীতে স্বরসতী পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় তিন যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজার এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই নোয়াখালীর বাসিন্দা। পূজা দেখার জন্য তারা ফেনী এসেছিলেন।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর বসুরহাট উপজেলার জুগিদিয়া গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী অন্তর ঘোষ (১৮), বেগমগঞ্জ থানার আলিপুর গ্রামের কৃষ্ণ গোপালের ছেলে সৌরভ (২৩) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিারহিমপুর গ্রামের মনোরঞ্জন বৈষ্ণবের ছেলে দেবু বৈষ্ণব (২১)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে তিন যুবক একটি মোটরসাইকেলযোগে ফেনী থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেকেরবাজার সংলগ্ন আশ্রাফপুর এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে থাকা স' মিলের গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। পরে সড়কে পড়ে গেলে দুজনের ওপর দিয়ে একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে সৌরভ ও দেবুর মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর অবস্থায় অন্তরকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ২ 

পীরগঞ্জে ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাড়া নিয়ে ফেনী থেকে দাগনভূঞা যাচ্ছিলাম। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় তিনজন রাস্তায় পড়েছিল। ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যায়। তাদের মধ্যে অন্তর নামে একজন তখনও জীবিত ছিলেন। পরে তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সিএনজি অটোরিকশায় করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত অন্তর ঘোষের মাশি (খালা) পিয়াঙ্কা ঘোষ জানান, তারা তিন বন্ধু পূজা দেখতে নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসেছিল। পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে দাগনভূঞায় দূর্ঘটনায় তারা মারা যায়। তার বোনের একমাত্র ছেলের (অন্তর) এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন তারা।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.

মো. সুজন জানান, হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। জরুরি বিভাগে আনার পর তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। অন্য একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকা/সাহাব/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন চ ক ৎসক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ