অনুমতি ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজ, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 4th, February 2025 GMT
অনুমতি না নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় প্রবেশ করায় পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ভিয়েতনামের মালিকানাধীন ‘এমটি ডলফিন-১৯’ নামের জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। জাহাজটি জ্বালানি তেল নেওয়ার সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কোস্টগার্ড আটক করে।
বন্দরসচিব মো.
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিতে ১১ হাজার ৬০০ টন মোলাসেস আমদানি করে মোংলার পি অ্যান্ড পি ট্রেডিং। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৪৫ দশমিক ৫০ মিটার ও প্রস্থ ২৩ মিটার।
সোমবারের ঘটনায় জাহাজটি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জরিমানা পরিশোধ করেছে। এর পরই বন্দরের ছাড়পত্র নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মোংলার উদ্দেশে রওনা হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।