বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলাচলকারী রিকশা ও অটোরিকশার নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত রিকশা ও অটোরিকশার ভাড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কেআর মার্কেট থেকে প্রশাসনিক ভবন, টিএসসি, হেলথ কেয়ার সেন্টার, করিম ভবন, ঈশা খাঁ হল, শহীদ জামাল হোসেন হল, শেষ মোড়, শহীদ শামসুল হক হল, আশরাফুল হক হল, শহীদ নাজমুল আহসান হল ও কৃষি সম্প্রসারণ ভবনে যেতে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা এবং অটোরিকশার ভাড়া ৫ টাকা।

কেআর মার্কেট থেকে ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে যেতে রিকশা ভাড়া ২০ টাকা এবং শাহজালাল হলে যেতে রিকশা ভাড়া ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

করিম ভবন থেকে শহীদ জামাল হোসেন হল, শাহজালাল হল, শহীদ শামসুল হক হল, আশরাফুল হক হল ও শহীদ নাজমুল আহসান হলে যেতে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে যেতে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।

জব্বারের মোড় থেকে ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল, টিএসসি, প্রশাসনিক ভবন, সুলতানা রাজিয়া হল, তাপসী রাবেয়া হল, জুলাই ৩৬ হল, কৃষিকন্যা হল, বেগম রোকেয়া হল, কেআর মার্কেট, করিম ভবন, শহীদ নাজমুল আহসান হল, শহীদ শামসুল হক হল, শাহজালাল হল ও আশরাফুল হক হলে যেতে রিকশা ভাড়া ১০ টাকা এবং অটো ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঈশা খাঁ হল, শহীদ জামাল হোসেন হল, শেষ মোড় রিকশা ভাড়া ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জব্বারের মোড় থেকে অ্যাগ্রোনমি ফিল্ড, ফার্ম, ফিশারিজ ফার্ম ও হর্টিকালচার ফার্মে যেতে রিকশা ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ১৫ টাকা। ডেইরি ফার্ম ও পোল্ট্রি ফার্মে যেতে রিকশা ভাড়া হবে ২০ টাকা।

এছাড়া, টিএসসি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে করিম ভবন, ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে যেতে রিকশা ভাড়া ১০ টাকা এবং শেষ মোড়ে যেতে রিকশা ভাড়া ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, “ক্যাম্পাসে রিকশা ও অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ ছিল। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাকৃবি উপাচার্যের নির্দেশে আলোচনা করে নতুন ভাড়া তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে আমাদের লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থী ও রিকশাচালক—এ দুই পক্ষকে সন্তুষ্ট রাখা।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা যেমন বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, তেমনি রিকশাচালকদের স্বার্থও গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ করবো, তারা যেন রিকশায় ওঠার আগে নির্ধারিত ভাড়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয় এবং ভাড়া নিয়ে চালকদের সঙ্গে অস্পষ্টতা এড়ানোর জন্য পূর্বেই আলোচনা করে।”

তিনি আরো বলেন, “যদি কেউ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি দাবি করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানাতে হবে। কোন চালক অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে বা নিয়ম মানতে অস্বীকৃতি জানালে, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ ম জ ব হল ১৫ ট ক ১০ ট ক স ন হল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ