সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে মালামাল নিয়ে কনকোর্স হলে চলে যান দুবাই থেকে ফেরত দুই যাত্রী। কাস্টমস লাগেজ স্ক্যানিং করে ভেতরে স্বর্ণের হদিস পায়নি। কাস্টমসের কাছ থেকে রক্ষা পেলেও দুই যাত্রী নজর এড়াতো পারেননি নিরাপত্তাকর্মী ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের। তাদের চ্যালেঞ্জের মুখে নিয়ে যাওয়া হয় আবার স্ক্যানিংয়ে। 

তিন বার পরীক্ষা করার পরও স্বর্ণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেননি বিমানবন্দরের কাস্টম কর্মকর্তারা। পরে দুই যাত্রীর লাগেজ খোলে ফ্যান ও চার্জার লাইটের ভেতরে পাওয়া যায় ১২০টি স্বর্ণের বার ও চারটি গোলাকার স্বর্ণপিণ্ড। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন প্রায় ১৭ কেজি, যার বাজারমূল্য ২১ কোটি টাকা। 

ওই সময় আটক করা হয় স্বর্ণের বাহক সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা যাত্রী আফতাব উদ্দিন (৩৬) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বাসিন্দা সৈয়দ আহমদকে (২৪)। পরে এ নিয়ে ব্রিফিং করেন সিলেটে কাস্টম কমিশনার তাসনিমুর রহমান। এ সময় ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদসহ গোয়েন্দা ও কাস্টম বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় দুবাইয়ের শারজাহ এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি-২৫২) ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাত্রী সৈয়দ আহমদ ও আফতাব উদ্দিন কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে তাদের লাগেজ স্ক্যান করে গ্রিন চ্যানেল পাড় হয়ে কনকোর্স হলে চলে যান। বের হওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় এনএসআই সদস্যরা তাদের আটকে দেন। পরে তাদেরকে কাস্টমসে নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিকবার স্ক্যান করার পরও স্বর্ণ থাকার বিষয়টি ধরা পড়েনি উল্লেখ করে এনএসআইর এক সদস্য সমকালকে জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল ওই দুই যাত্রীর কাছে স্বর্ণের চালান রয়েছে। সেজন্য তারা চ্যালেঞ্জ করে যাত্রীদের লাগেজ খোলেন। তিনি জানান, দুই যাত্রী বাহক মাত্র। চালানের পেছনে অন্যরা রয়েছে। 

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আটক দুই যাত্রীকে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হবে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে। 

ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানিয়েছেন, স্ক্যানিংয়ে দুই যাত্রীর কাছে স্বর্ণ থাকার বিষয়টি ধরা পড়েনি। বিশেষ কৌশলে তারা তা বহন করে। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য থাকায় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক স টমস ওসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ