মার্সেলো জানালেন, গল্পটা এখানেই শেষ
Published: 6th, February 2025 GMT
গত নভেম্বরে কোচের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন মার্সেলো। এরপর থেকে ক্লাবহীন ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। সেই ঘটনার তিন মাস পর এক ভিডিও বার্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলকে বিদায়ই বলে দিলেন এই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি।
বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া পোস্টে মার্সেলো বলেছেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমার গল্পটা এখানেই শেষ হচ্ছে। তবে ফুটবলকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই আমার মধ্যে আছে।’ সেই ভিডিও বার্তায় মার্সেলোর ফুটবল ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলোও দেখানো হয়।
২০০২ সালে ফ্লুমিনেন্সের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে শুরু মার্সেলোর। ২০০৫ সালে একই ক্লাবের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। দুই বছর পর অর্থাৎ ২০০৭ সালে মার্সেলোকে কিনে নেয় স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ৩৬ বছর বয়সী লেফট–ব্যাককে।
আরও পড়ুনকোচের সঙ্গে বিতণ্ডার পর চুক্তি বাতিল মার্সেলোর ০৩ নভেম্বর ২০২৪নিজের সময়ের অন্যতম সেরা এই লেফট–ব্যাক রিয়ালের জার্সিতে একের পর এক শিরোপা জিতছেন। রিয়ালের হয়ে ৬টি লিগ শিরোপা ও ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট ২৫টি ট্রফি জয়ের অংশ তিনি। একপর্যায়ে তো মার্সেলোই ছিলেন ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতা ফুটবলার।
পরে অবশ্য মার্সেলোকে পেছনে ফেলেন নাচো, লুকা মদরিচ ও দানি কারভাহাল। রিয়ালের ইতিহাসের সফলতম ফুটবলারদের একজন হলেও জাতীয় দলের জার্সিতে অবশ্য মার্সেলোর তেমন কোনো সাফল্য নেই। ২০১৩ সালে জেতা ফিফা কনফেডারেশনস কাপই তাঁর একমাত্র অর্জন। ব্রাজিলের জার্সিতে সব মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৬টি গোলও আছে এই ডিফেন্ডারের।
রিয়ালের হয়ে ২৫টি শিরোপা জিতেছেন মার্সেলো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।