‘আমার দলে সম্মানটা আপনার জন্য নিশ্চিত’—অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালের মূলমন্ত্র এটাই। গতকালও তিনি কথাটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। সম্মানটা যে থাকতেই হবে, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তামিম নিজে তো আছেনই, জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের ঠিকানাও ফরচুন বরিশাল।
আরও পড়ুনএত কিছুর পর সেই তো শেষ হয়েই যাচ্ছে বিপিএল২ ঘণ্টা আগেসঙ্গে যোগ করুন বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। স্থানীয় এত তারকাকে একই দলে রাখতে সম্মানবোধটা তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এক সুতায় গেঁথে রাখার এই শক্তির কারণে গতবার শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে তারা।
আজ সন্ধ্যায় বিপিএল ফাইনালে চিটাগংক কিংসকে হারাতে পারলে বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরবে। অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালও বসবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ইমরুল কায়েসের পাশে। বিপিএলের আগের দশ আসরে শুধু মাশরাফি–ইমরুলই যে কেবল টানা দুবার শিরোপা জিততে পেরেছেন। এবার ওই হাতছানি আছে তামিমের জন্যও।
ফাইনালের আগে সতীর্থ জিমি নিশামের সঙ্গে তামিম। গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।