মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেননি তামিম ইকবাল। অবসরের সঙ্গে মিশে আছে বিশাদের গল্প। বিপিএল ফাইনালের ভরা গ্যালারিতে ওই তামিমকে দেওয়া হয় বিদায়ী সংবর্ধনা। সঙ্গে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন করে এবং ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়ে সাজানো মঞ্চের নায়ক বনে গেছেন তামিম।
বিপিএলের ফাইনালে জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো তামিমের দলের। পূর্বে ১৯০ রানের গন্ডি মাড়িয়ে জিততে পারেনি কোন দল। ওই বৃত্ত ভাঙতে শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন তামিম। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিতে একাই যোগ করেন ২৯ বলে ৫৪ রান। নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায় সাজান ঝড়ো ইনিংস।
ফাইনালের আগে তামিম বলেছিলেন, জিততে হলে নির্ভার থাকবে হবে। একাদশ সাজাতেই ঠান্ডা মস্তিষ্কের প্রমাণ দেন তিনি। ফাইনালের জন্য জিমি নিশামকে উড়িয়ে আনলেও তাকে বেঞ্চ করে পেসার মোহাম্মদ আলীকে রাখেন একাদশে। তাকে কাজেও লাগিয়েছেন পরিকল্পনা মাফিক। যার ফলাফল- বড় রানের ম্যাচে পাকিস্তানের আলী ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
বিদায়ী সংবর্ধনা মঞ্চেও শক্ত বার্তা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাকিব, তামিম, মাশরাফির সমর্থক না হয়ে তরুণ এই দলটাকে সমর্থনের অনুরোধ করেছেন তিনি, ’ক্যারিয়ার জুড়ে ভক্তদের সমর্থন ছিল দারুণ। সেখানেই খেলতে গিয়েছি তাদের সমর্থন পেয়েছি। তবে ভক্তদের জন্য আমার একটা শেষ অনুরোধ থাকবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালোবাসুন। এগুলো বন্ধ করুণ। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নষ্ট করছে। আমাদের এই দলটা খুব তরুণ তাদের সমর্থন করুণ।’
তামিমের জন্য সাজানো বিদায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে স্মৃতিচারণ করেন সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। বিপিএলে তামিমের দল বরিশালে খেলা মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমরা মাঠ থেকে তার জাদুকরী ব্যাটিং দেখিছে। অনেক বছর দেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। তার কারিশমা মিস করা হবে। মুশফিক জানান, তামিম বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা ব্যাটার। তামিম সবার প্রতি খুবই দয়ালু। এটাই তার ব্যক্তিত্ব।
তামিমের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন তার স্ত্রীও। এ সময় তামিমের হাতে জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের জার্সি স্মরক হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন দুই সন্তান এবং বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও তার পরিবার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল র সমর
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫