Samakal:
2025-05-01@09:56:06 GMT

সাজানো মঞ্চের নায়ক তামিম

Published: 7th, February 2025 GMT

সাজানো মঞ্চের নায়ক তামিম

মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেননি তামিম ইকবাল। অবসরের সঙ্গে মিশে আছে বিশাদের গল্প। বিপিএল ফাইনালের ভরা গ্যালারিতে ওই তামিমকে দেওয়া হয় বিদায়ী সংবর্ধনা। সঙ্গে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন করে এবং ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়ে সাজানো মঞ্চের নায়ক বনে গেছেন তামিম। 

বিপিএলের ফাইনালে জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো তামিমের দলের। পূর্বে ১৯০ রানের গন্ডি মাড়িয়ে জিততে পারেনি কোন দল। ওই বৃত্ত ভাঙতে শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন তামিম। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিতে একাই যোগ করেন ২৯ বলে ৫৪ রান। নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায় সাজান ঝড়ো ইনিংস। 

ফাইনালের আগে তামিম বলেছিলেন, জিততে হলে নির্ভার থাকবে হবে। একাদশ সাজাতেই ঠান্ডা মস্তিষ্কের প্রমাণ দেন তিনি। ফাইনালের জন্য জিমি নিশামকে উড়িয়ে আনলেও তাকে বেঞ্চ করে পেসার মোহাম্মদ আলীকে রাখেন একাদশে। তাকে কাজেও লাগিয়েছেন পরিকল্পনা মাফিক। যার ফলাফল- বড় রানের ম্যাচে পাকিস্তানের আলী ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। 

বিদায়ী সংবর্ধনা মঞ্চেও শক্ত বার্তা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাকিব, তামিম, মাশরাফির সমর্থক না হয়ে তরুণ এই দলটাকে সমর্থনের অনুরোধ করেছেন তিনি, ’ক্যারিয়ার জুড়ে ভক্তদের সমর্থন ছিল দারুণ। সেখানেই খেলতে গিয়েছি তাদের সমর্থন পেয়েছি। তবে ভক্তদের জন্য আমার একটা শেষ অনুরোধ থাকবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালোবাসুন। এগুলো বন্ধ করুণ। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নষ্ট করছে। আমাদের এই দলটা খুব তরুণ তাদের সমর্থন করুণ।’ 

তামিমের জন্য সাজানো বিদায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে স্মৃতিচারণ করেন সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। বিপিএলে তামিমের দল বরিশালে খেলা মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমরা মাঠ থেকে তার জাদুকরী ব্যাটিং দেখিছে। অনেক বছর দেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। তার কারিশমা মিস করা হবে। মুশফিক জানান, তামিম বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা ব্যাটার। তামিম সবার প্রতি খুবই দয়ালু। এটাই তার ব্যক্তিত্ব।

তামিমের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন তার স্ত্রীও। এ সময় তামিমের হাতে জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের জার্সি স্মরক হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন দুই সন্তান এবং বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও তার পরিবার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল র সমর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ