সাগর-রুনি ফটো অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০ আলোকচিত্রী
Published: 9th, February 2025 GMT
‘সাগর-রুনি হিউম্যান রাইটস ফটো অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ১০ আলোকচিত্রী। শনিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় সাগর-রুনি ফাউন্ডেশন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ১৩তম বছরে সুষ্ঠু বিচার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সব অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদে পুরস্কার প্রদান এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সহযোগিতা করে হা-মীম গ্রুপ ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাত হারানো রাজধানীর উত্তরার গাজী আতিকুলের ছবি তুলে সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ তাসাওয়ার ইসলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মায়ের ডাকের মানববন্ধনে বাবার ছবি ধরে কান্নাভেজা শিশুর ছবি তুলে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মেহেদী হাসান। আর গত বছর ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই ছাত্রীর ওপর ছাত্রলীগের হামলার ছবির জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দীপু মালাকার। সেরা আলোকচিত্রীকে ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে ২৫ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক এবং সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেহেদী হাসান, সৈয়দ মাহবুবুল কাদের, নুসায়ের বিন খালেদ, আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের, শাহনেওয়াজ খান, নুরুন নাহার নার্গিস ও দাইওয়ান আলভি বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন।
আয়োজকরা জানান, নির্বাচিত ৫০ সেরা ছবি নিয়ে গতকাল শুরু প্রদর্শনী চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে আগামী বৃহস্পতি ও শনিবার জাতীয় জাদুঘর বন্ধ থাকায় প্রদর্শনী হবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে আর কখনও হারতে দেওয়া যাবে না।’
অনুষ্ঠানে সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বলেন, ‘মা-বাবার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। কিন্তু সব বলা হয় না। আমার কাছে মনে হয়, তারা এমন কিছু জানতেন এক ব্যক্তির সম্পর্কে, সেসব লুকানোর জন্যই মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সাগর-রুনির আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনির জানান, নানা প্রতিকূলতার পরও তারা এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাজ করছেন। আগামী ৪ এপ্রিল বিশেষ টাস্কফোর্স প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স গর র ন
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।