কমিটি বাতিলের দাবিতে সিরাজগঞ্জে সড়ক অবরোধ
Published: 9th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সিরাজগঞ্জের জেলা কমিটিতে স্থান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যমুনা সেতু পশ্চিম গোল চত্বর মহাসড়ক এলাকা অবরোধ করেন তারা। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
দুই দফা সংঘর্ষ শেষে শান্ত আইডিয়াল ও সিটি কলেজ
নামাজের সময় গানবাজনার অভিযোগ
কলেজের অনুষ্ঠানে হামলা, চেয়ার-বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর
আরো পড়ুন: ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ কমিটি বিলুপ্ত না করলে ‘উত্তরবঙ্গ ব্লকেড’
এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরে অবস্থিত নিউজ হোম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা কমিটি বাতিলের জন্য ৬ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। নেতারা ঘোষণা করেছিলেন, দাবি না মানলে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক ব্লকড করা হবে।
গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের সই করা একপত্রে ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়। এরপর থেকে এ কমিটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
আজ রবিবার রাত ৮টর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান মুনতাসির বলেন, “নতুন কমিটি দ্রুত বাতিল না করলে, আগামীকাল (সোমবার) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।”
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি দেওয়ার স্লোগান দিয়ে তারা চলে যান।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ স র জগঞ জ ক অবর ধ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত
ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।
আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।
সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।