খেলোয়াড় বিক্রিতে শীর্ষে চেলসি, শীর্ষ দশে আরও যারা
Published: 10th, February 2025 GMT
ভক্তরা সাধারণত খেলোয়াড় কিনতে ক্লাবগুলো কত টাকা খরচ করল, সেদিকেই বেশি চোখ রাখেন। কিন্তু ক্লাবগুলো শুধু খেলোয়াড় কিনতেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে, এমন নয়। বিপরীতে খেলোয়াড় বিক্রি করে বেশ আয়ও করে তারা। মূলত কেনাবেচার এই ভারসাম্যই ক্লাবগুলোর আর্থিক সক্ষমতাকে চিহ্নিত করে।
যদিও দলবদলে খেলোয়াড় বেচাকেনার ধরন সবার এক নয়। কোনো কোনো ক্লাব খেলোয়াড় কিনে দল ভারী করে সাফল্য পেতে চায়, কোনো ক্লাব আবার খেলোয়াড় তৈরি করে বিক্রি করাতেই বেশি জোর দেয়। কোনো কোনো ক্লাব আবার দুটির মধ্যে একধরনের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করে।
খেলোয়াড় কেনায় যেসব ক্লাব বেশি টাকা খরচ করে, চেলসি তাদের অন্যতম। তবে গত ১০ মৌসুমে হিসাবের দিকে তাকালে দেখা যাবে, চেলসি শুধু কেনার দিক থেকে নয়, বেচার দিক থেকেও এগিয়ে। সবাইকে টপকে খেলোয়াড় বিক্রিতে গত ১০ মৌসুমে সবার ওপরে অবস্থান চেলসির।
আরও পড়ুনখেলোয়াড় বিক্রির আয়ে দ্বিতীয় স্থানে গার্দিওলা, সবার ওপরে কে০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫যারা এ সময়ে খেলোয়াড় বিক্রি করে পেয়েছে ১৩০ কোটি ইউরো (প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা) চেলসির বিক্রির তালিকায় এডেন হ্যাজার্ড (১২ কোটি ইউরো) ও কাই হাভার্টজের (৭ কোটি ৫০ লাখ ইউরো) মতো তারকাও আছেন।
চেলসির পর ১২৭ কোটি ইউরো নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে বেনফিকা। শুনতে একটু আশ্চর্য মনে হলেও যারা নিয়মিত ফুটবলের দলবদলের খবর রাখেন, তাঁরা বেনফিকার সামর্থ্য সম্পর্কে জানেন। খেলোয়াড় তৈরি করে বড় ক্লাবগুলোর কাছে বিক্রি করার জন্য বেশ পরিচিত তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে এনজো ফার্নান্দেজ (১২ কোটি ১০ মিলিয়ন) ও জোয়াও ফেলিক্স (১২ কোটি ৭০ লাখ) ছিলেন বেনফিকা থেকে বিক্রি হওয়া দুই আলোচিত ফুটবলার। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ফুটবলারকে ৫ কোটি বা তার বেশি দামে বিক্রি করেছে ক্লাবটি। এই জানুয়ারিতেও নিকো গঞ্জালেসকে ৬ কোটি ইউরোতে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে বিক্রি করেছে তারা।
আরও পড়ুনএই বিশাল বহর লইয়া কী করিবে চেলসি২৪ আগস্ট ২০২৪এই তালিকার পরের নামও খেলোয়াড় তৈরি করে বিক্রির জন্য বিখ্যাত। বলা হচ্ছে মোনাকোর কথা। গত ১০ মৌসুমে যারা খেলোয়াড় বিক্রি করে আয় করেছে ১১৪ কোটি ইউরো। ১০০ কোটির ঘরে থাকা অন্য ক্লাবগুলো হলো জুভেন্টাস (১০৯ কোটি), ডর্টমুন্ড ডর্টমুন্ড (১০৩ কোটি) ও আয়াক্স আমস্টারডাম (১০০ কোটি)। এ ছাড়া শীর্ষ দশে থাকা অন্য ক্লাবগুলো হলো বার্সেলোনা (৯৭ কোটি ৩০ লাখ), আতলেতিকো মাদ্রিদ (৯৩ কোটি ৭০ লাখ), ম্যানচেস্টার সিটি (৮৭ কোটি ৭০ লাখ), পোর্তো (৮৪ কোটি ৬০ লাখ)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’