সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ঢাকা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের ৭৯টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা অপর ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাঈদ খোকনের মা শাহানা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা সাঈদ। বাকি দুই জনের নাম জাবেদ আহমেদ ও ফাতেমা খাতুন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেন রয়েছে। সাঈদ খোকন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এদের সঙ্গে আর্থিক যোগসূত্র রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এসব হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর ও উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাঈদ খোকনসহ অপর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতিসহ মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণকরণ ও অবৈধ অর্থ আইনগতভাবে আটক করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

দুদকের পক্ষে মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ