যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর তৃতীয় দিন; অর্থাৎ সোম থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ অভিযানে ২টি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ২টি গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ অভিযান শুরুর পর শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২ হাজার ২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যৌথ বাহিনী দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করেছে। গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভায় এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযান সম্পর্কে এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, দেশ ডেভিলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট চলবে।

শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরের শিকার হন ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের মারধর করা হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিরসরাইয়ে ঝরনায় ডুবে প্রাণ গেল পর্যটকের

চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলার সীমান্তবর্তী রূপসী ঝরনার কূপে ডুবে এক পর্যটক মারা গেছেন। আজ রোববার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পর্যটকের নাম মো. আসিফ উদ্দিন (২৪)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি কামাল গেট এলাকার মো. সরোয়ার কামালের ছেলে। নগরের ইসলামিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন আসিফ।

আসিফ উদ্দিনের বন্ধু নাফিজ আহমেদ বলেন, ‘আজ সকাল ৭টায় আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে মিরসরাইয়ের রূপসী ঝরনা দেখতে এসেছিলাম। দুপুর ১২টার দিকে ঝরনার একটি কূপে গোসল করার সময় আসিফ পানিতে ডুবে যায়। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে আমরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আসিফের লাশ উদ্ধার করেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা সাহ্লঞ মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝরনার দ্বিতীয় ধাপের একটি কূপের গভীর থেকে ওই পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছি।’

স্থানীয় নিজামপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বেলা ২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত পর্যটকের পরিবারের লোকজন মিরসরাইয়ে এসে পৌঁছেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ