বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পরিবর্তন করে ৬টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পরীক্ষার নম্বর পুনর্বণ্টন করে গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা বিষয় সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বর্তমানে বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে, সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য বাংলায় ২০০ নম্বরের, ইংরেজিতে ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ১০০ এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। আর কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের বাংলায় ১০০ নম্বরের, ইংরেজিতে ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ১০০ এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।

আরও পড়ুনপ্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পুন:নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, পদ ৬৩৮১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ৬টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে নম্বর পুনর্বণ্টনের সুপারিশ করেছে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলা রচনায় ১০০ নম্বর, ইংরেজি রচনায় ১০০ নম্বর, ইংরেজি কম্পোজিশনে ও প্রিসিস ( Precis) বিষয়ে ১০০ নম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে ১০০ নম্বর, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলিতে ১০০ নম্বর এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ ও ভূগোল বিষয়ে ১০০ নম্বর করার সুপারিশ করেছে।

আরও পড়ুনবিসিএস পরীক্ষা দেড় বছরে শেষ করার যে রূপরেখা দিল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যিক বিষয় ছাড়াও সিলেবাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং আইন ইত্যাদি গুচ্ছ থেকে ৬টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটি ১০০ নম্বরের) অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কোনো গুচ্ছ থেকে দুটির বেশি বিষয় বা পেপার নির্বাচন করা যাবে না। প্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং মনস্তাত্ত্বিক গুণাবলি মূল্যায়ন করার জন্য পরীক্ষার ধরনগুলো আপডেট করা উচিত। এ জন্য অতিরিক্ত একটি ইনটিগ্রিটি পরীক্ষা পরিচালনা করা যেতে পারে, যা হবে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের প্রাথমিক স্ক্রিনিং। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হলো। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল নম্বরসহ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করে কমিশন। কারণ, প্রার্থীদের মধ্যে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কোনো প্রার্থী পরপর তিনবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে তিনি আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স প র শ কর ল খ ত পর ক ষ পর ক ষ য ব স এস র পর ক ষ র য় ১০০

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ