রূপগঞ্জে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
Published: 12th, February 2025 GMT
রূপগঞ্জে সদর ইউনিয়নের বাড়িয়া ছনি এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা জোর পূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো বড় ধরণের নাশকতার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
জানাগেছে, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের টেকনোয়াদ্দা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম লিটন তার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমি (টেকনোয়াদ্দা মৌজার ১০৯, ১১০ নং সিএস ও এসএ দাগের আরএস ১৩০, ১৩১ নং দাগের) ১৬ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য দান করেন। বাকি ৬ শতাংশ নিজে ভোগ দখল করে আসছেন।
এরমধ্যে সালফারাজ ও তার লোকজন ওই জমিটি দখলের জন্য স্থাপনা নির্মানসহ নানাভাবে পায়তারা করলে রফিকুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলাম, সালফারাজ, আলী রাজ, রাজিব ও রাজিবকে বিবাদী করে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং-১০৬/২০২৫ইং। মামলা দায়েরের পর আদালত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৪৫ ধারা জারি করেন।
এদিকে আদালতের আদেশের পর সালফারাজ ও তার লোকজন আরও বেপোরোয়া হয়ে মসজিদ ও রফিকুল ইসলাম লিটনের ব্যক্তিগত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এরপর থেকে ওই এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের পরিস্থিতি হলে খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এরপর পুলিশ চলে যাওয়ার পর পুনরায় সালফারাজ ও তার লোকজন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কাজ করায় যে কোনো সময় বড় ধরণের নাশকতার আশংকা করছেন স্থানীয় জন সাধারণ।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম লিটন জানান, আমার পৈতিক ও ক্রয়কৃত সম্পদের উপর আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলাম কিন্তু ওই সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত সালফারাজ জানান, আদালত থেকে যে আদেশ আসছে আমরা অবগত আছি, তবে এই জমি আমাদের না।
ঘটনাস্থলে যাওয়া রুপগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হাসান মাতুব্বর জানান, আদালতের আদেশ তামিল করতে গেলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আমরা সকলকে বুজিয়ে চলে আসি। পরদিন এই আদেশ তামিল করি। আদালতের আদেশ অমান্য করলে কাউকে ছাড় নয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ মসজ দ ও
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।