Samakal:
2025-08-02@05:03:14 GMT

ভারী যান চলাচল সেতুধসের শঙ্কা

Published: 13th, February 2025 GMT

ভারী যান চলাচল সেতুধসের শঙ্কা

বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে বেহাল হয়ে পড়েছে একটি সেতু। ভেঙে গেছে রেলিং। দেবে গেছে সেতুর দু’পাশের মাটি। এতে দুই-তিন ফুট উঁচু হয়ে চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। প্রায় দেড়শ ফুট লম্বা ও ছয় ফুট প্রশস্ত সেতুটি মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী মধ্যম পাড়া এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ সালের দিকে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুঁইয়া একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। যার কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দীর্ঘদিন ধীরগতিতে চলে নির্মাণকাজ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শেষ হয় সেতুর নির্মাণকাজ। সেতুটি উদ্বোধনের ফলে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের কষ্ট অনেক কমে যায়। বেড়ে যায় বালু ও কাঠ বোঝাই যানবাহনের চলাচল। অতিরিক্ত ভারী যানবাহনের কারণে সেতুর দুই প্রান্তের মাটি ২-৩ ফুট দেবে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর রেলিং।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা লাথোই মারমা, মনির হোসেন, মাওলানা আবুল কাশেম, নায়েব আলীর সঙ্গে। তারা জানান, সেতুটির প্রস্থ আনুমানিক ৬ ফুট। বড় ট্রাকের প্রস্থও এর কাছাকাছি। সেতুর ওপর ট্রাক উঠলে তখন পাশে আর জায়গা থাকে না। এর ফলে একটু এদিক-সেদিক হলেই সেতুর বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে যায় রেলিং। এসব ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে না পারলে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।
স্কুল শিক্ষক আইয়ুব আলী ও কৈংক দেওয়ান জানান, এক সময়ে কয়েক গ্রামের মানুষের বাজারে যেতে হলে খাল পার হতে হতো। মধ্যম তিনটহরী খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এখানকার মানুষের দুর্ভোগ কমে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এই সেতুর ওপর এক ধরনের নির্যাতন চলছে। কেননা ছোটখাটো যানবাহন চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিনিয়ত বালুবাহী ভারী ট্রাকের অবাধ চলাচল বেড়ে গেছে। আর ট্রাকের ধাক্কায় দিন দিন সেতুর বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নূর জাহান বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বালুভর্তি ট্রাক এ পথে আসা-যাওয়া করায় সেতুর আজ দুরবস্থা। ধসে গেছে অনেক জায়গা। তারপরও কে শোনে কার কথা।’
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিন আফরোজ ভূঁইয়ার ভাষ্য, সেতুর ওপর দিয়ে যাতে বড় যানবাহন চলতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ভবিষ্যতের এআই নিয়ে বিল গেটসের ভাবনা

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস পাঁচ দশক ধরে আলোচিত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব। মাইক্রোসফটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন বিল গেটস। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে বেশ কয়েকবার প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিল গেটস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বিল গেটসের মতে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিলেও সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পরিবর্তন খুব দ্রুত আসবে, যে কারণে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।

বিল গেটস জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন কিছু কাজ কমিয়ে দেবে। তবে মানুষ আর প্রযুক্তি দুনিয়া প্রস্তুত না থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনও আসবে। এই প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালো কাজ করতে বা আরও বেশি সময় ছুটি কাটাতে সুযোগ করে দেবে।

আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) সম্পর্কে বিল গেটস জানান, এআইয়ের উন্নত একটি রূপ এজিআই। এই প্রযুক্তি বিক্রয় বা গ্রাহক সহায়তার মতো জটিল কাজ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করতে পারে। এজিআই মানুষের কাছে ভিন্ন জিনিস হলেও একবার যখন মেশিন এজিআই বুঝে যাবে তখন কম খরচে আরও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে। তখন একটি বড় পরিবর্তন হবে।

আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এআই প্রযুক্তি দ্রুতগতির পরিবর্তন দেখে বেশ অবাক বিল গেটস। তাই তিনি নিজে কঠিন সব বিষয় বোঝার জন্য এআইকেন্দ্রিক বিভিন্ন টুল ব্যবহার করেন। তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিল গেটস জানান, তরুণদের কৌতূহলী হতে হবে। বিভিন্ন এআই টুলের ব্যবহার শিখতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সেই চলার পথে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুনযে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে০২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ