রাশিয়ার আক্রমণের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইউক্রেনের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারের একটি ছোট অংশ গতকাল শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠান আগামীকাল রোববার সম্প্রচার করা হবে। খবর আল জাজিরা, রয়টার্সের

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়া না পাওয়ার পরিণতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘সম্ভবত এটি খুব, খুব ও খুব কঠিন হতে পারে। অবশ্যই প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতি একটি সুযোগ এনে দেয়। কিন্তু আমাদের সে সম্ভাবনা কম। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশ কম।’

জেলনস্কি এমন সময় এ কথা জানালেন, যখন পুতিন ও ট্রাম্প ফোনে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা বলেন। পরে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে শান্তি আলোচনার জন্য তিনি শিগগির রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠক সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের ওপর আলোকপাত করেন দুই নেতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ