জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রের তাপমাত্রাও। স্যাটেলাইটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাগরের উপরিভাগে থাকা বরফ দ্রুত কমছে। এর ফলে সাগর বেশি তাপ শোষণ করছে, যা পৃথিবীকে আরও উষ্ণ করে তুলছে।

ইউএস ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টারের তথ্য মতে, ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে বরফ রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বরফে আবৃত এলাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই মূলত আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের বরফ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ২০১০ দশকের মাঝামাঝি থেকে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে বরফের পরিমাণ কমতে থাকে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ওয়ালি মেয়র বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তা ইঙ্গিত করছে, এটি কোনো অস্থায়ী পরিবর্তন নয়।’

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বিজ্ঞানী টম ব্রেসগার্ডল বলেন, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বরফের পৃষ্ঠ গলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে বরফ তুলনামূলকভাবে পাতলা ও চলমান। এখানে বাতাস বরফ ভেঙে ফেলছে। উষ্ণ বায়ু ও উষ্ণ জলরাশি বরফের এই নিম্নস্তরের জন্য দায়ী।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরফ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ