সাগরে বরফের পরিমাণ দ্রুত কমছে, কারণ কী
Published: 16th, February 2025 GMT
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রের তাপমাত্রাও। স্যাটেলাইটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাগরের উপরিভাগে থাকা বরফ দ্রুত কমছে। এর ফলে সাগর বেশি তাপ শোষণ করছে, যা পৃথিবীকে আরও উষ্ণ করে তুলছে।
ইউএস ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টারের তথ্য মতে, ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে বরফ রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বরফে আবৃত এলাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই মূলত আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের বরফ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ২০১০ দশকের মাঝামাঝি থেকে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে বরফের পরিমাণ কমতে থাকে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ওয়ালি মেয়র বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তা ইঙ্গিত করছে, এটি কোনো অস্থায়ী পরিবর্তন নয়।’
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বিজ্ঞানী টম ব্রেসগার্ডল বলেন, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বরফের পৃষ্ঠ গলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে বরফ তুলনামূলকভাবে পাতলা ও চলমান। এখানে বাতাস বরফ ভেঙে ফেলছে। উষ্ণ বায়ু ও উষ্ণ জলরাশি বরফের এই নিম্নস্তরের জন্য দায়ী।
সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বরফ র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা