Risingbd:
2025-08-02@05:06:03 GMT

খাল খননের নামে টাকা হরিলুট!

Published: 17th, February 2025 GMT

খাল খননের নামে টাকা হরিলুট!

সারাবছর পানি ধরে রেখে কৃষিজমিতে সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকায় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গড়ের খাল খনন প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে খননের দেড় বছরেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। পানি তো দূরের কথা, খাল খননের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া কঠিন। অভিযোগ উঠেছে, খাল খননের নামে টাকা হরিলুট হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীর তৎপরতায় ২০২২ সালে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকায় মূল ও শাখা মিলিয়ে ৩১ দশমিক ৬ কিলোমিটার খাল পুনরুদ্ধার ও খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উদ্দেশ্য ছিল, সারাবছর পানি ধরে রেখে কৃষিজমিতে সেচ দেওয়ার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে খালে পানিই নেই। এ অবস্থায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন- অপরিকল্পিতভাবে খননের কারণে এখন গড়ের খালের বেশিরভাগ জায়গাতেই পানি নেই। অনেক জায়গায় নকশা অনুযায়ী খনন হয়নি। প্রধান খাল বাদ দিয়ে খনন করা হয়েছে অপ্রয়োজনীয় শাখা খাল। খনন করা মাটি খালের পাশে রেখে দেওয়ায় দেড় বছর না যেতেই পুনরায় ভরাট হয়ে গেছে। খালের দুইপাশে চার হাজার গাছ লাগানোর কথা থাকলেও হরিলুট হয়েছে সেই অর্থ।

খাল যতটুকু খননের কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ততটা খনন করেনি। তলদেশ থেকে সামান্য মাটি তুলে আগাছা পরিস্কারের মধ্য দিয়ে খনন কাজ শেষ করে দিয়েছে। খাল পাড়ে মাটি রেখে দেওয়ায় বৃষ্টির সাথে সেই মাটি পুনরায় খালে নেমে গেছে। অসংখ্য স্থানে খালের এপার ওপার বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে- ফলে পানি চলাচল করছে না।

কলেজছাত্র ডিএইচ রাজুর অভিযোগ, “আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলে খাল খননের নামে টাকা হরিলুট করেছেন। এ টাকার ভাগ পেয়েছেন অনেকে। আলোচিত এই প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপারে মামলা দায়ের করার দাবি জানাচ্ছি।”

উপজেলার আদারবাড়ি এলাকায় খালপাড়ের ব্যবসায়ী নুরুল হক বলেন, “একটি এক্সকেভেটর খালের পাড়ে রেখে কিছুক্ষণ ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করেই কাজ শেষ করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ স্থানে এভাবে কাজ করা হয়েছে। কিছু জায়গায় সামান্য মাটি উত্তোলন করা হয়েছে, কিন্তু এক বর্ষাতেই তা পুনরায় ভরে গেছে।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সদস্য মো.

বাহার উদ্দিন বলেন, “ঐতিহ্যবাহী গড়ের খাল পরিদর্শন করে দেখেছি- এটি আর খাল নেই। এর প্রকৃতি বদলে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ দখলদারেরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এখন মনে হচ্ছে- প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে শুধু অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, নানা প্রতিবন্ধকতায় পুরো খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকাদার ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে এবং তাকে ৫৪ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

পাউবো হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, “গড়ের খাল খননে ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা চুক্তি ছিল। ঠিকাদারকে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। পুরো কাজ না করায় বাকী টাকা দেওয়া হয়নি। সেই টাকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ল খনন র প রকল প উপজ ল খনন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ